উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা কী

Looks like you've blocked notifications!

মাতৃত্বের স্বাদ কে না পেতে চায়। কিন্তু গর্ভধারণের আগে থেকে মাকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে, যাতে অনাগত সন্তান ও মা ঝুঁকিমুক্ত থাকে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি বা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা বলতে আসলে কী বোঝায়।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি ও এ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ্যত্ব বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।

হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি বলতে আসলে কী বোঝায়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান বলেন, হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি বলতে আমরা বুঝি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা। প্রেগন্যান্সি একটি নরমাল ফিজিওলজিক্যাল কন্ডিশন। এটা কোনও ডিজিজ না। কিন্তু এটা কখন একটি নরমাল ফিজিওলজিক্যাল কন্ডিশন থেকে প্যাথলজিক্যাল কন্ডিশনে যায়, তখনই আমরা এটিকে বলব হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি। সাধারণত ১৮ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এ সময়টা গর্ভধারণের সঠিক সময়। তবে ১৮ বছরের নিচে এবং ৩০ বছরের ওপরে, এ সময়ে যদি কেউ গর্ভধারণ করেন, তখন কিন্তু তাঁরা হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সিতে ঢুকে গেলেন। এটা হচ্ছে তাঁর বয়স রিলেটেড হাই রিস্কের ব্যাপারটা।

ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান বলেন, বয়সের কথা যদি আমরা বলতে চাই, এখন যেমন অনেক বাল্যবিবাহ হচ্ছে, ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হচ্ছে; আমরা কেন বলি যে বাল্যবিবাহ খারাপ, ১৮ বছরের নিচে বিবাহ খারাপ, এ জন্যই যে বিয়ে হলেই তিনি গর্ভধারণ করবেন। এই বাচ্চা মেয়েটা একটা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার মধ্য দিয়ে তার হোল থ্রু প্রেগন্যান্সি কিন্তু রান করবে। সে জন্য আমরা বলছি, ১৮ বছরের কমে বিয়ে না এবং ২১ বছরের আগে বাচ্চা না। যদিও আমরা অনেক ১৯-২০ বছরের মধ্যে প্রেগন্যান্সি পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তার পরেও এখানে আমি একটু গুরুত্ব দিতে চাচ্ছি, বিয়ে যখনই হোক না কেন, ১৮ বছরের পরে যদি বিয়ে হয়, ২১ বছরের নিচে যেন বাচ্চাটা না হয়, এ ব্যাপারটা, মানে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যেন উনি গ্রহণ করেন। ২১ বছরের আগে যেন প্রেগন্যান্ট না হন।

ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান আরও বলেন, আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, ৩০ বছর। ৩০ বছর যদি পার হয়ে যায় এবং ৩০ বছর পরে যদি উনার প্রথম প্রেগন্যান্সিটা হয়, প্রথম কনসিভ করেন, ৩০ বছর পরে সেকেন্ড বা থার্ড প্রেগন্যান্সি হতেই পারে, সেটা কিন্তু ওই রকম ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এটা গেল বয়সের ব্যাপার। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, প্রেগন্যান্সি হলে, বয়সটা বেড়ে গেলে বা কম বয়সে প্রেগন্যান্সি হলে তখন উনি কী কী ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। উনার কিন্তু প্রেশারটা বেশি থাকতে পারে। প্রেশারজনিত সমস্যা হতে পারে, যেটাকে আমরা হাইপারটেনশন বলছি। হাইপারটেন থেকে তা খিঁচুনিতে রূপান্তরিত হয়।

হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।