ঋতু পরিবর্তন : কী খাবেন, কী খাবেন না

Looks like you've blocked notifications!

ঋতু পরিবর্তন হবে, এটা স্বাভাবিক। গ্রীষ্ম গেলে শীত, শীত গেলে বসন্ত এ চক্রই তো প্রকৃতির সৌন্দর্য। তবে ঋতু পরিবর্তনে শারীরিক পরিবর্তনও হয়। অনেকের জ্বর-সর্দি লাগে। তাই চাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে ঋতু পরিবর্তনে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ঋতু পরিবর্তনে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে বলেছেন পুষ্টিবিদ রুবাইয়া পারভীন রীতি।

পুষ্টিবিদ রুবাইয়া পারভীন রীতি বলেন, সিজন্যাল ফ্লু হলে কী করবেন। সবকিছু নির্ভর করে আপনার খাবারের ওপর। খাদ্যতালিকায় আপনি কী ধরনের খাবার নির্বাচন করছেন, কী খাচ্ছেন, কোন খাবার থেকে বিরত থাকছেন, তার ওপর নির্ভর করে আপনার সুস্থতা। দেখা যায়, এ সময় অনেকের ঠাণ্ডা-কাশি, সর্দি-জ্বর অনেক ধরনের সমস্যা লেগেই থাকে। এর একটি মাত্র কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। দেখা যায়, অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে অনেকে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি সরাসরি পান করেন। এতে অনেক ধরনের ক্ষতি হয়। বিশেষ করে যাঁদের টনসিলের সমস্যা আছে এবং কথায় কথায় ঠাণ্ডা লাগে, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি খুব সমস্যার একটি কারণ। তাই অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি এড়িয়ে চলবেন। ঠাণ্ডা পানি ওয়ান-থার্ড পারসেন্ট এবং টু-থার্ড পারসেন্ট নেবেন নরমাল পানি। এভাবে মিশিয়ে আপনি সেই পানি পান করতে পারেন।

রুবাইয়া পারভীন রীতি বলেন, যাঁদের জ্বর আসে, তাঁরা জ্বরের সময় আনারস, জাম্বুরা, বিভিন্ন ধরনের টকজাতীয় ফল খাবেন, যাতে শরীর খুব সহজে ডিটক্সিফাই হয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দুধ পান করা। এ সময় দুধ অনেক উপকারী। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে যদি আপনি দুধের সাথে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন, সেটি যেমন ত্বক ভালো রাখবে, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এটি অ্যান্টিবডি হিসেবেও বেশ ভালো কাজ করে।

এ পুষ্টিবিদ বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, জ্বরের সময় রুচি কমে যায়। সে ক্ষেত্রে রুচি বাড়ানোর জন্য আপনি একটু নরম ভাত দিয়ে ভর্তা খেতে পারেন। গ্রিলড খাবার খেতে পারেন। আরও অনেক ধরনের খাবার, বিশেষ করে চাটনি, আলু বোখারার চাটনি মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জিঙ্কযুক্ত খাবার খাওয়া। কারণ, অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে জ্বর আসে বা সিজন্যাল ফ্লু হয়। সে ক্ষেত্রে জিঙ্কযুক্ত খাবার আপনি পাবেন মাংসের কলিজা থেকে, মাছ থেকে এবং বিভিন্ন ধরনের লাল শাকসবজি থেকে।

পুষ্টিবিদ রুবাইয়া পারভীন রীতি যুক্ত করেন, ফলের রস অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। কারণ, আপনি যখন নিয়মিত ফলের রস খাচ্ছেন, এর মধ্যে থাকা ভিটামিনস, মিনারেলস, ফসফরাস, পটাসিয়াম আপনার স্বাস্থ্যকে যেমন অনেক বেশি ভালো রাখবে, তেমনই আপনাকে এনার্জেটিক করে তুলবে। যদি সুস্থ থাকতে চান, তবে নিয়মিত সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন এবং বাইরের খাবার ফাস্টফুড, জাঙ্ক ফুড, ঠাণ্ডা পানি, আইসক্রিম এড়িয়ে চলবেন।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।