এসিড দিয়ে আঁচিল পোড়ানো কি ঠিক

Looks like you've blocked notifications!

অনেকেই আঁচিলের সমস্যায় ভুগছেন। আঁচিল ত্বকের এক বিব্রতকর সমস্যা। মুখ, পিঠ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এটি হতে পারে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে আঁচিলের সমস্যা ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে আঁচিলের সমস্যা সম্পর্কে বলেছেন ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেহরান হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।

আঁচিল কি শুধু বাহ্যিক দিক থেকে আকৃতিগত কোনও ত্বকের সমস্যা, না কি এটি অন্য কোনও সমস্যা বা উপসর্গ এর থাকতে পারে। রোগী কী অনুভব করবেন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মেহরান হোসেন বলেন, রোগী আসলে একটি জিনিস দেখবে, আমার শরীরে একটা জিনিস হয়েছে, যেটা গোলাকার আকৃতির, একটু খোঁচা খোঁচা লাগে, অনেক সময় ইচিং বা ব্লিডিং দেখা যেতে পারে। একটু শক্ত শক্ত একটা জিনিস ফিল করবে। আরেকটা কমপ্লেইন নিয়ে রোগীরা আসে। বলে, এটা একটা ছিল, হুট করে বেড়ে যাচ্ছে। দুইটা-চারটা হচ্ছে। তখনই কিন্তু বুঝতে হবে এটা কন্টাজিয়াস বা ছোঁয়াচে। বলে, স্যার, ছিল একটা, ছয় মাসে অনেকগুলো হয়ে গেল। এটা কিন্তু খুব কমন।

ডা. মেহরান হোসেন বলেন, আরেকটা কমনলি আমরা পাই ইমিউনো-কম্প্রোমাইজ পেশেন্টদের। যেমন যাদের ইমিউনিটি কম, একটা স্ট্রোকের পেশেন্ট হোক কিংবা ডায়াবেটিস রয়েছে, এরা কিন্তু ইমিউনো-কম্প্রোমাইজড। এদের আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আরেকটা খুব কমন, যারা হোমিওপ্যাথি খেয়ে ফেলে আঁচিলের জন্য। তাদের কিন্তু একদম ইমিউন মডেলেশন হয়ে যায়। ইমিউনো-সাপ্রেশন হয়ে তাদের এ ধরনের ডিজিজ আরও বেড়ে যায়। একটা থেকে দেখা যায় একশটা হয়ে যাচ্ছে।

অনেককে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের এসিড দিয়ে এটিকে পুড়িয়ে ফেলার একধরনের প্রবণতা রয়েছে। দর্শকদের কীভাবে আপনি সচেতন করবেন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মেহরান হোসেন বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দুই ধরনের অপচিকিৎসা আমরা দেখি। এক নম্বর হচ্ছে, স্যালিসাইলিক নামে একধরনের এসিড আছে, ওটা কী মাত্রায় দিতে হবে, কোন বয়সে দিতে হবে, কাকে কোন মাত্রায় দিতে হবে, কোন স্কিনের জন্য কী মাত্রা, মুখের স্কিনের জন্য কী রকম, পায়ের জন্য কী রকম এগুলো টোটালি না বুঝে তারা বিভিন্ন হাই ডোজে স্যালিসাইলিক এসিড বিক্রি করছে রাস্তাঘাট বা বিভিন্ন জায়গায়। ওটা দিয়ে স্কিনটা পুড়ে যাচ্ছে। এমন বেশি স্কার হয়ে যায়, যেগুলো না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। অনেকে কেটে ফেলতে বলে। কিন্তু কেটে ফেললে হবে না। যেহেতু ভাইরাস, এটাকে নষ্ট করতে হবে। গোড়াটা নষ্ট করতে হবে।

আঁচিলের সমস্যা ও এর প্রতিকার সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।