কিডনি রোগীর ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে কী করণীয়

Looks like you've blocked notifications!

অনেকে কিডনিজনিত নানান সমস্যায় ভুগছেন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করা, জীবন যাপনে অনিয়মের কারণে কিডনিজনিত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, কিডনি রোগীর রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে কী করণীয়।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কিডনি রোগীর ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে করণীয় সম্পর্কে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।

কিডনি রোগ যাঁদের থাকে, সেরাম ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। আমরা জানি যে প্রোটিন রেস্ট্রিকশনের দরকার হয়, তাঁর খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তনের দরকার হয়, সেটি আসলে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং কত গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করবে, যদি বলতেন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম বলেন, এটা ব্লাইন্ডলি প্রোটিন রেস্ট্রিকশনের দরকার নেই। শুধু কিডনি ফেইলিউর যখন হবে, তখনই প্রোটিন রেস্ট্রিকশনের প্রশ্নটা আসে এবং প্রোটিন রেস্ট্রিকশনটা আমরা কেন বলি, কিডনির ছাঁকনি যখন কোনও কারণে নষ্ট হয়, সেটা ডায়াবেটিসের কারণে হোক, ইনফেকশন হোক বা কোনও কিডনি রোগের জন্য হোক, ছাঁকনি দিয়ে প্রোটিন অনবরত লিক করতে করতে একসময় ওইটা পারমানেন্ট হয়ে যায়। পুরো ড্যামেজ হয়ে যায়। রিকভারি স্টেজ থাকে না।

অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম বলেন, কিডনির শুধু প্রোটিন রেস্ট্রিকশনটা না, অনেক কিছুর রেস্ট্রিকশন লাগে। সেটা স্টেজ অনুসারে। কিডনি ফেইলিউরটাকে আমরা পাঁচটি স্টেজে ভাগ করি। যেমন আরলি স্টেজ বা সেকেন্ড স্টেজ, যেটা আমরা সাধারণভাবে রোগীদের বোঝায়, ক্রিয়েটিনিন যখন ২ মিলিগ্রাম পারসেন্ট থাকে, ওই পর্যন্ত খুব একটা প্রোটিন রেস্ট্রিকশন লাগে না। নরমাল ডায়েট। কিন্তু সেখানে আমাদের অন্য রেস্ট্রিকশনগুলো, যেমন এক্সট্রা লবণ খাবে না, ডায়াবেটিস থাকলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে।

ডা. আছিয়া খানম যুক্ত করেন, সবচেয়ে আগে কিডনির চেঞ্জ যেটা হয়, যেটাতে ফসফেট জমতে থাকে। এটা আবার হাড়গুলোকে ক্ষয় করে দেয়। সেজন্য কিছু ফসফেট কনটেইনিং খাবার... যেহেতু প্রোটিনের কথা আসছে, প্রোটিন আমরা হিসাব করি, একজন নরমাল মানুষের প্রতিদিন এক গ্রাম প্রোটিন পার কেজি বডি ওয়েট চাহিদা থাকে। ধরা যাক, কারও ওজন ৬০ কেজি, তার জন্য দরকার ৬০ গ্রাম। এখন ৬০ গ্রাম কীভাবে রোগী মাপবে। আরমা রোগীকে ডায়েট চার্ট দিয়ে দিই।

কিডনি রোগী খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।