কিডনি রোগীর খাবার

Looks like you've blocked notifications!

অনেকেই কিডনিতে নানা ধরনের রোগে ভুগছেন। কিডনিতে পাথর হয় অনেকের। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে কিডনি রোগীর খাবার সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আফজার উদ্দীন শেখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।

কিডনি রোগীদের খাদ্যাভ্যাস কী হওয়া উচিত, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আফজার উদ্দীন শেখ বলেন, স্টোনের জন্য যেটা দায়ী, সুপার স্যাচুরেশন অব ইউরিন। পানি কম খেলে এটা হতে পারে। যাঁদের বারবার এটা হয়, আমরা তাঁদের উপদেশ দিই, আপনারা বেশি পানি খাবেন। এখন বেশি পানি খাওয়ার অর্থ কী, এটা রোগী প্রায় প্রশ্ন করে, বেশি পানি মানে কতটুকু পানি খাব? এটা ডিপেন্ড করে কে কোথায় কাজ করছে। কেউ যদি এসির ভেতরে থাকে, সে তিন লিটার পানি খেলেও এনাফ। কিন্তু যে রিকশা চালায়, মাঠে কাজ করছে, সে কিন্তু সারা দিন ঘামছে। তার পাঁচ-ছয় লিটারও পানি খাওয়া লাগতে পারে।

ডা. আফজার উদ্দীন শেখ বলেন, ইন্ডিকেটর হচ্ছে প্রস্রাবের কালার বা রং। রংটা যেন পানির মতো থাকে, গাঢ় না হয়। আর খাদ্যাভ্যাস অন্য জিনিস। ক্যালসিয়াম কনটেইনিং যে ফুডগুলো আছে, আমরা যারা সিটি লাইফে ফাস্ট ফুড খাই, এর মধ্যে চিজ... চিজের মধ্যে কিন্তু অনেক ক্যালসিয়াম থাকে। তারপর সল্ট। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই... এগুলো আমরা খাই, সল্টে ভরা। এ জাতীয় সল্ট ও চিজ কনটেইনিং ফাস্টফুড অ্যাভয়েড করতে হবে। ক্যালসিয়াম যেসব খাবারে বেশি আছে, সেগুলো অ্যাভয়েড করতে হবে। যেগুলো মাটির নিচে হয়, যেমন শালগম; পালং শাক, টমেটোতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে। আমি বলছি না যে এগুলো খাবেন না। এগুলো খাবেন, কিন্তু পরিমাণে যেন বেশি না হয়। যাঁদের ইউরিক অ্যাসডি স্টোন হয়, তাঁদের আমরা বলি যে রেড মিট খাবেন না। রেড মিট খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়।

কিডনি রোগীর খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।