ঘন ঘন প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে কী ঝুঁকি বাড়ে

Looks like you've blocked notifications!

অনেকে কিডনিজনিত নানান সমস্যায় ভুগছেন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করা, জীবন যাপনে অনিয়মের কারণে কিডনিজনিত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হলে সংক্রমণ কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে কি না।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হলে কিডনিতে সংক্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।

যাদের খুব ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হয়, তাদের ভবিষ্যতে কিডনি অ্যাফেক্টেড হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম বলেন, বয়স ভেদে আমরা সেটা ঠিক করি। যেমন খুব ছোটবেলায় যদি বাচ্চাদের ইনফেকশন হলো, সেটা আমরা বাচ্চার লক্ষণ দিয়েও বুঝি; সেটার জন্য ইনফেকশন যদি রিপিটেডলি হতে থাকে, তাহলে কিন্তু একটা সময়... কারণ, গ্রোয়িং এজে আট-দশ বছরের আগ পর্যন্ত যদি সেই ইনফেকশনটা কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তখন কিডনিতে একটা পারমানেন্ট স্কার করে দেয়। সেটার কারণে সে আট-দশ বছর বয়সের পরে অথবা ইনফেকশন হওয়ার পরে সেই লক্ষণগুলো ডেভেলপ করবে।

অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম বলেন, যার ডায়াবেটিস আছে, তার কিন্তু রিপিটেড ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেটা যদি ট্রিট না করা হয়, ইনফেকশনটা ব্লাডে ছড়িয়ে পড়ে, সেটাকে আমরা সেপটিসেমিয়া বলি। সেটিও কিন্তু বারবার হতে হতে কিডনিতে অ্যাফেক্ট করে ফেলে। কিডনি ফেইলিউর হয়ে যায়, যেটা সাময়িক ফেইলিউর হতে পারে, স্থায়ী ফেইলিউর হতে পারে। স্টোনের জন্য যদি হয়, এক দিকে স্টোন হলে সাধারণত ফেইলিউর হয় না। যদি দুই দিকে স্টোন হয় দুইটা প্রস্রাবের নালিতে এবং দুই দিক ব্লক করে দেয়, সেটার কারণে কিডনি ফেইলিউর হতে পারে। অথবা প্রস্রাবের নালিতে কোথাও, যেটা বলা হয় যে বের হতে পারছে না, ব্যাক প্রেশার দিয়ে কিডনিকে খারাপ করছে। তারপর আমরা কোনও হিসাবনিকাশ ছাড়া ডিসপেনসারি থেকে ব্যথানাশক কিছু ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক; এগুলো যে রোগীর সেনসিটিভ, তার একটা ডোজই এনাফ কিডনি ড্যামেজ করে দেওয়ার জন্য। আবার সেটা এমন না যে পারমানেন্ট ড্যামেজ হয়ে গেল; কারণ, আমরা জানি না কত বছর পর তার কিডনি অ্যাফেক্ট করবে।

ডা. আছিয়া খানম বলেন, খুব আরলি স্টেজে কিন্তু ধরা যায়, কিডনি ফেইলিউর হওয়ার আগ পর্যন্ত, এর হতে পারে, এর ভবিষ্যতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তো ওই সব ক্ষেত্রে যদি আমরা কেয়ারফুল থাকি বা কিছু প্রিকশন নিই কারণভেদে রোগভেদে, তাহলে অনেকখানি কিডনি রোগের লক্ষণ থেকে বাঁচতে পারি।

কিডনি রোগ সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।