ঘরে বসে কাজ করছেন? এ সময় নিজের যত্ন নেবেন যেভাবে

Looks like you've blocked notifications!
করোনা প্রতিরোধে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ জরুরি। ছবি : প্রতীকী

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গোটা দেশের দৃশ্যপটেই এসেছে বড় রকমের পরিবর্তন। সংক্রমণ এড়াতে অফিসের পরিবর্তে বাসা থেকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের। আর করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের এই সময়ে নিজের স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। 

হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘরে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীকে। এ সময়ও জরুরি নিজের শরীরের পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখা। চলুন দেখে নেওয়া যাক, এ সময় কীভাবে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা যেতে পারে—

পর্যাপ্ত পানি পান

ভারতের পুষ্টিবিদ পূজা মাখিজার মতে, দিনে ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর পরামর্শ, পানিশূন্যতা অবসাদের কারণ হতে পারে। দৈনন্দিন কাজের মতোই মোবাইল ফোনে প্রতি ঘণ্টার অ্যালার্ম সেট করে পানি পানের পরিকল্পনা করা যেতে পারে।

অতিরিক্ত কফি পান ঠিক নয়

পূজার মতে, অতিরিক্ত কফি পান ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। মাত্রাতিরিক্ত কফি পানের ফলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস ও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। ‘দুই কাপ কফির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার চেষ্টা করুন ও অতিরিক্ত ক্রিমারস ও চিনি পরিহার করুন,’ বলেন তিনি। এ ছাড়া দিনের যেকোনো বেলার খাবার ত্যাগ করা উচিত নয়। সকালের নাশতা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। তাই একে স্বাস্থ্যকর করে তোলা জরুরি।

খাবারের প্রতি মনোযোগ

জাঙ্ক ফুডকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন পূজা। এর পরিবর্তে ওটস, ফল, আঁশযুক্ত খাবার দৈনন্দিন তালিকায় রাখার পরামর্শ তাঁর। দুপুরের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না।

‘অনেক সময়ই আপনি হয়তো টানা কাজ করতে গিয়ে, বিশেষত বাসায় বসে কাজ করার ক্ষেত্রে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময়ও কাজ করতে থাকেন। এটি করবেন না। এটি আপনাকে বিক্ষিপ্ত করে তুলতে পারে ও আপনি অতিরিক্ত খাবারের দিকে ঝুঁকতে পারেন। এর চেয়ে ঠিকভাবে খাবার গ্রহণ করুন। এগুলো আপনার উপযুক্ত খাবার, সঠিক হজম নিশ্চিত করবে ও অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ বন্ধ করবে,’ বলেন পূজা।

বাসায় বসে দীর্ঘ সময় কাজ করার ফলে অনেকেই অনিয়মিত খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এতে রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই। তাই অবশ্যই কাজের পাশাপাশি সঠিক উপায়ে খাদ্যগ্রহণ জরুরি। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। এ জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ অপরিহার্য।