ছয় মাস বয়স থেকে শিশুর খাদ্যতালিকা

Looks like you've blocked notifications!

জন্মের পর থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে বাচ্চাকে মায়ের দুধ দিতে হয় এবং ছয় মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে ছয় মাস বয়স থেকে শিশুর খাদ্যতালিকা সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ছয় মাস বয়স থেকে শিশুর খাদ্যতালিকা সম্পর্কে কথা বলেছেন একজন পুষ্টিবিদ।

তিনি বলেন, ছয় মাস পরে বাচ্চা কী খাবে। আমরা প্রথমেই বাচ্চাকে ফলের জুস দিয়ে তার বাড়তি খাবারের প্রক্রিয়া শুরু করব। সে ক্ষেত্রে মাল্টার রস, কমলার রস, ডালিমের রস বাচ্চাকে দেওয়া যেতে পারে। এর সাথে আমরা বাচ্চাকে পারিবারিক যে খাবারটা আছে, তা দেব। সেখানে ভাত-ডাল নরম করে বাচ্চাকে খাওয়াব। তা ছাড়া মুরগির মাংস ভালো করে থেঁতো করে, মাছে কাঁটা বেছে, ব্লেন্ড করে মুরগির কলিজা বাচ্চাকে দিতে পারব। ডিমের ক্ষেত্রে সাদা অংশ দিয়ে বাচ্চার খাবারটা আমরা প্রথমে শুরু করব। সাদা অংশটা যখন সে খেতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে, তারপর তাকে কুসুমটা কন্টিনিউ করব। কুসুম খাওয়ানোর সময় আমরা খেয়াল রাখব, তার পেটে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। যদি না হয় তাহলে কুসুমসহ ডিম নরম করে পোচ করে বা সেদ্ধ করে, সে যেভাবে খেতে পারে, তাকে আমরা সেভাবে দেব।

এ পুষ্টিবিদ বলেন, এর পরে পারিবারিক খাবারে অভ্যস্ত করার জন্য আমরা যখন একসাথে সবাই খেতে বসব, বাচ্চাকেও নিয়ে বসব। আমাদের খাবার থেকে অল্প অল্প করে খাবার মেখে তার জন্য আলাদা করে দেব এবং সে ওখান থেকে নিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবে। এভাবে সে নিজে নিজে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। এ ছাড়া আমরা সুজি, চালের গুঁড়ো দিয়ে ওর জন্য হালুয়া তৈরি করতে পারি অথবা সে যে ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করে, তার মতো উপযুক্ত করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, কিছু কিছু বাচ্চা মিষ্টি খাবার পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে তার খাবারে আমরা চিনি মিশিয়ে দেব। বাচ্চার যখন দুই বছর বয়স হয়ে যাবে, তখন তাকে আমরা বাড়তি দুধ দিতে পারি। খেয়াল রাখতে হবে, দুধে অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়ে তার খাবারের সাথে দিতে হবে। হুট করে তা বাচ্চার শরীরে সহ্য নাও হতে পারে। দুধ পাতলা করে সুজির সাথে, চালের গুঁড়ো সাথে অথবা রুটির সাথে আমরা তাকে খেতে দেব। এভাবে খেতে থাকলে বাচ্চার শরীর সুস্থ থাকবে এবং সে সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।