দিনে কত কাপ চা খাবেন?
বিশ্বে জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে চা অন্যতম। এর বিভিন্ন প্রকার আছে এবং এর পুষ্টিগুণও অনেক। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে চা পানের বিষয়ে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে চা পান বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ তপতী সাহা। তিনি বলেন, চায়ে আছে মূল্যবান প্রাকৃতিক উপাদান ফ্লুরাইড, যা আমাদের শরীরকে তাজা রাখতে সাহায্য করে এবং এটি হাড়ের গঠনের পাশাপাশি দন্তক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় জানা গেছে, আমরা যদি প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ কাপ বা ১২০ এমএল চা পান করি, তা থেকে আমরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়ার পাশাপাশি আরও পাব ভিটামিন ও মিনারেলস। চা, বিশেষ করে র টি আমাদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণ এবং স্নায়বিক বার্তা পরিবহণ; এ ছাড়া আমাদের রক্ত জমাট বাঁধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পুষ্টিবিদ তপতী সাহা বলেন, র টি থেকে আমরা পটাসিয়াম পাই, যা আমাদের শরীরে পানিসাম্য বজায় রাখে। গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রাবোফ্ল্যাবিন ও থায়ামিন পাওয়া যায় চা থেকে এবং আরও ভিটামিন বি৬, বি১২, ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায় র টি থেকে। হিমোগ্লোবিন এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রিন টি আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে এবং শরীরের টক্সিসিটি দূর করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি লেমন টি-ও আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। মিল্ক টি-র মধ্যে ক্যাফেইন নষ্ট হওয়ার কারণে তা শরীরে গ্যাসের উদ্রেক করে। তাই অনেক দিন ধরে যাঁরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় এবং আইবিএসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা অবশ্যই মিল্ক টি পরিহার করবেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশার এবং ব্লাড কোলেস্টেরলের রোগীরা নিশ্চিন্তে প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ র টি গ্রহণ করতে পারবে।