নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেসব বিষয়ে সচেতনতা দরকার

Looks like you've blocked notifications!

নারী স্বাস্থ্যের বিষয়টি বেশ জটিল। কারণ নারীদের বয়সের উপর তাদের স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়ে। এর মধ্যে কিশোরী বয়সে একরকম, রিপ্রোডাকটিভ বয়সে একরকম , আর প্রবীণ বয়সে, জীবনের প্রতিটি স্তরে নারীদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত। বয়স বাড়ার সাথে সাথে, বিশেষ করে ৪০-এর পর নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেহেতু এই সময় পিরিয়ড বন্ধ হয়। তাই শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ সংক্রমিত হয়। আবার এই বয়সে ওজন বেড়ে যায়।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কথা বলেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কিশোয়ার পারভীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।

নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কিভাবে সচেতন হতে পারি, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. কিশোয়ার পারভীন বলেন, নারীদের শিক্ষিত হতে হবে। কারণ একটি মেয়ে যখন শিক্ষিত হবে, তখন তাকে কিছুই শিখিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। সে নিজে থেকে তার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষার কৌশলগুলো নিজেই জেনে নিবে। একটি মেয়ে যখন শিক্ষিত হবে, তখন তার পরিবারের শিশু, স্বামীসহ সবার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হবে।

একটি শিক্ষিত মেয়ের যখন প্রথম মাসিক হয়, তখন সে জেনে যাবে কিভাবে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করতে হবে। এগুলো নিয়ে সমাজে যেসব ট্যাবু (একটি অন্তর্নিহিত নিষেধ বা ধর্মীয় বা সামাজিক বেড়াজাল) রয়েছে, সেটা আর থাকবে না। প্রতিনিয়ত দেখা যায়, গ্রামের মেয়েরা সবসময় নোংরা জামা কাপড় ব্যবহার করার ফলে নারীদেহের প্রজননতন্ত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। অল্প বয়সে একটি মেয়ের যদি প্রজননতন্ত্রে সংক্রমণ হয়, তখন সে তার বাকি জীবনে সবসময় এই সংক্রমণে ভুগবে। ক্রনিক পেলভিন পেইন অর্থাৎ সারা জীবন তার তলপেটে ব্যথা থাকবে। তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের মধ্যে পিআইডি বা পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ অন্যতম। ফলে এগুলো থেকে নারীদের পরবর্তী গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। কাজেই মাসিকের শুরু থেকে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে। পাশাপাশি তাদের খাবারের ব্যাপারে খেয়ালে করতে হবে। এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না, যাতে তার ভবিষ্যতে সমস্যার সম্মুখীন হয়।   

ইদানিং শহরের মেয়েরা বা স্বচ্ছল পরিবারে দেখা যায়, ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড তুমুল জনপ্রিয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) বাড়ার কারণ হচ্ছে এই ধরনের খাদ্যাবাস। কারণ প্রায় আমাদের চেম্বারে দেখা যায়, যুবতী মেয়েরা অনেক ওজন নিয়ে আসছে। অবশ্যই তাদের খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে সুস্থ জীবনযাপন। তাই এ বিষয়ে খুব খেয়াল করতে হবে। সন্তানদের আদর করে খাবার দিবেন। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল করবেন খাবার যেন তার ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর না হয়।  

পরিপূর্ণভাবে খাদ্যাভ্যাস, শরীর চর্চা, নিজের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করলে, সব বয়সের মেয়েরা ভালো থাকতে পারবে।  

নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে জানতে উপরের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।