নিয়মিত খেজুর খান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান
করোনাভাইরাস বিশ্বের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। দিন দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তাই এই মুহূর্তে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
স্বাস্থ্য ও জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মতে, যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি পাওয়ার যত বেশি হবে, তার এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও তত বেশি হবে। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোজ খান চার থেকে পাঁচটি খেজুর। ফ্রুক্টোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ খেজুর আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী, যা খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এতে থাকা প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এ, বি, সি, সালফার, প্রোটিন, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, আয়রন, ইত্যাদি উপাদান। পাশাপাশি খেজুরে ফ্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, কোবাল্ট, বোরন, সেলেনিয়াম ও জিঙ্কের মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
কাদের কতটা খাওয়া উচিত
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক থেকে দুটি করে খেজুর খাওয়া উচিত। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রোজ তিন থেকে পাঁচটি করে খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।
কীভাবে খাবেন
১. সকালে উঠে খালি পেটে চার থেকে পাঁচটি খেজুর চিবিয়ে খেতে পারেন।
২. দুধের সঙ্গে ফুটিয়ে খেতে পারেন। এতে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ, খেজুর দুধের সঙ্গে ফুটিয়ে খেলে শরীরে ঘাটতি থাকা আয়রন সহজেই পূরণ হয়।
৩. খেজুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করুন, এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। পাশাপাশি ভিজিয়ে রাখা খেজুর খান, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
খেজুরের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. খেজুর লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
২. খেজুরে থাকা ভিটামিন বি (বি১, বি২, বি৩, বি৫), ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩. খেজুরে থাকা ভিটামিন বি৬ আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪. শরীরে গ্লকোজের ঘাটতি দূর করতে খেজুর অত্যন্ত উপকারী।
৫. খেজুরে থাকা সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও কপার হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে ও হাড়কে শক্তপোক্ত করতে সাহায্য করে। অস্টিয়োপোরোসিস নামক হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
৬. খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৭. খেজুর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে হৃদস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
৮. হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে খেজুর।