পেট ফোলাভাব কমানোর ৫ উপায়

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- ফ্রিপিক

নানা কারণেই আমাদের  অনেক সময় পেট ফোলে। এর কারণ হল খুব দ্রুত খাওয়া, একসাথে বেশি খাবার খেয়ে ফেলা, কোষ্ঠকাঠিন্য, লিভারের রোগ, ধূমপান, পিত্তের পাথর, ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা (দুধ), গ্লুটেন অসহিষ্ণুতা (গমের প্রোটিন) বা অন্ত্রের ব্যাধি। মেয়েদের গর্ভাবস্থা বা মাসিকের কারণে বদহজম হয়ে থাকলে পেট ফোলাভাব অনুভব হয়। এছাড়াও কিছু খাদ্য আইটেম আছে যার ফলে আমরা পেট ফোলাভাব অনুভব করে থাকি। যেমন- শিম, মটরশুটি, মসুর ডাল, ব্রকলি, বাঁধাকপি, অতিরিক্ত নোনতা খাবার, দুধ ,কার্বনেটেড পানীয়, পেঁয়াজ, কাঁচা সবজি অথবা সালাদ। পেট ফোলাভাব ঘন ঘন অনুভব করলে, দ্রুত সমাধান করতে হবে। ধনে, আদা, আজওয়াইন বা হিং খেলে এই ফোলাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

ফোলাভাব মোকাবেলায় ঘরোয়া প্রতিকার

আদা

বদহজম, বমি বমি ভাব এবং পেট ফোলা সহ হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলির জন্য আদা খুবই কার্যকর। এটি একটি ঐতিহ্যগত প্রতিকার। এতে রয়েছে কারমিনেটিভ। যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে অতিরিক্ত গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। যেসব খাবারে অতিরিক্ত গ্যাস হয় যেমন ডাল, ছোলাতে রান্নার সময় আদা যোগ করতে পারেন। এছাড়াও গরম পানিতে আদা মিশিয়ে নিন। এটি খাবারের পরে পান করুন।

গরম পানি এবং মৌরি বীজ

শুধু মৌরি বীজ চিবিয়ে খেলেও হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে। এটি পেটের গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে পারে। এ ছাড়া, এক কাপ ফুটন্ত পানিতে এক চা চামচ মৌরি বীজ যোগ করুন। এতে কিছু আদা এবং লবণ দিন। চাইলে জিরা এবং ধনেও মেশাতে পারেন। এবার এই পানিটি ছেঁকে নিন। খাওয়ার পর পানিটি পান করুন। আপনি উপকার পাবেন। আদা, আজওয়াইন, হি, ধনে, মৌরি এবং জিরার মতো মশলা শুধু আপনার খাবারের স্বাদই বাড়ায় না। এগুলো পেটে ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে।

পানি পান করুন

চিনি, কোমল পানীয় বা সোডাযুক্ত পানি গ্যাস এবং ফোলাভাবের কারণ হতে পারে। তাই বেশি করে পানি পান করুন। তাহলে এই সমস্যাগুলি দূর হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় হবে।

খাদ্যতালিকা

আপনার খাবারে কলা, পেঁপে, গাজর, কমলালেবু, আনারস, পালং শাক, ওটস অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলিতে ভাল পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন রয়েছে। এসব খাবার হজমে সাহায্য করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

পুদিনাপাতা

পুদিনাপাতা পেটের গ্যাস বা ফোলাভাব কমাতে যাদুর মত কাজ করবে। আপনি পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন এই পুদিনা পাতা। অথবা লিকার চায়ের সাথে পুদিনা পাতা যোগ করতে পারেন।

সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস