বাচ্চা হলে মুটিয়ে যাওয়ার ভয়? ডায়েট জেনে নিন

Looks like you've blocked notifications!

আমাদের খুব কম মেয়েরাই আছে, যারা মুটিয়ে যাওয়ার ভয়ে সাইকোলজিক্যাল প্রবলেমে ভোগে না। এটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যে খুবই সহজ, সচেতন হলেই যে আমরা এখান থেকে নিজের মুডকে বুস্ট-আপ করতে পারি, সেটা মাথায়ও থাকে না বা আশপাশে যারা থাকে, তারা হেল্প কম করে থাকে। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে প্রসূতি মায়ের সুষম খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে প্রসূতি মায়ের সুষম খাদ্য তালিকা বলেছেন পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান।

ইশরাত জাহান বলেন, বাচ্চা হওয়ার পরে মা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। সকাল থেকে দুপুর ও রাতে যে তার প্রাত্যহিক কাজ করার মেইনটেন্যান্সটা, সেটার ব্যাঘাত ঘটে। জীবন যাপনে বিশাল একটা চেঞ্জ চলে আসে। সেখান থেকে একটা স্ট্রেস থাকে—আমি আসলে কী গোছালে নিজের জন্য সময় বের করে ডায়েট করতে পারব। অনেক মা-ই মনে করে, আমি যেহেতু বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছি, এই সময়ে ডায়েট করতে পারব না। এটা একটি ভুল ধারণা। আপনি চাইলে ডায়েট মেইনটেইন করেও কিন্তু ওজনটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং সে ক্ষেত্রে আপনার বাচ্চার যে দুগ্ধ পান করার সিস্টেমটা, এখানে কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না।

পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান আরও বলেন, অনেকে মনে করে বেশি বেশি মিষ্টি খেলে বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে মিল্ক সিক্রেশন বেশি হয়, এটাও ভুল ধারণা। প্রধান কথা হচ্ছে, শারীরিকভাবে আপনি হাইড্রেটেড আছেন কি না, শরীরে পানির ফ্লো পর্যাপ্ত আছে কি না। এ জন্য দুগ্ধ দানকারী মায়েদের আমরা বলি, বাচ্চাকে ব্রেস্ট ফিড করানোর আগে দুই গ্লাস পানি খাবেন এবং ব্রেস্ট ফিড করানোর পরে দুই গ্লাস পানি খাবেন। দিনের খাদ্য তালিকায় সুষম খাবার রাখতে হবে।

পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহানের পরামর্শ, যেহেতু আপনি ওজন কমাতে চাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে আপনি কার্বোহাইড্রেট কী ধরনের চয়েস করবেন, সেটা খুব ইমপরটেন্ট। বিশেষ করে যাঁরা ওভার ওয়েট হয়ে গেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু এক্সারসাইজ করা সম্ভব নয়। তাই এই ফ্যাটটা বার্ন করতে হলে আপনাকে কার্বোহাইড্রেটকে কাট করতে হবে। যেমন আগে যে ধরনের কার্বোহাইড্রেট নেওয়ার কথা ছিল, যদি আপনি দুই কাপ কার্বোহাইড্রেট নেন, সে ক্ষেত্রে আপনি দেড় কাপ করে ফেলবেন এবং সেটা আপনি ফুল-ফাইবার করবেন। মানে ব্রাউন রাইস বা ব্রাউন আটা আপনি খাবেন।

ইশরাত জাহানের ভাষ্য, লাল চাল বা লাল আটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যাদের বাচ্চা হয়ে যায়, তাদের একটা অভিযোগ থাকে—আমার ঘন ঘন খিদে লাগে, আমি কী খাবার খাব। এই ঘন ঘন খিদে লাগার সময়টাকে অনেক দীর্ঘ করবে, তাহলে হবে কি, কনজিউম করতে আপনাকে সাহায্য করবে। কারণ, পরবর্তীতে আপনার খাবার খাওয়ার যে ইচ্ছেটা, সেটা অনেক পরে জন্মাবে। আপনি অবশ্যই দুধ খাবেন। কারণ, দুধ—যেটা নন-ফ্যাট সেটা আপনার দরকার। ফ্যাট বাদ দিয়ে দুধে যে অন্য উপকরণ আছে, সেগুলো আপনার মিল্ক সিক্রেশন করতে অনেক সাহায্য করবে।

প্রসূতি মায়েদের খাদ্য তালিকায় কী কী রাখতে হবে, তা বিশদে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।