ব্রণ প্রতিরোধে কী খাবেন, কী খাবেন না

Looks like you've blocked notifications!

ব্রণ অনেকের কাছে আতঙ্কের নাম। ১২ বছর থেকে ১৯-২০ বছর বয়সি যে ছেলেমেয়ে রয়েছে, তাদের এই অ্যাকনি বা ব্রণজনিত সমস্যা বেশি হয়। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জানব, ব্রণ প্রতিরোধে কী খাবেন, কী খাবেন না।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ব্রণ প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে বলেছেন পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ।

পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, ব্রণ বা অ্যাকনি সমস্যা কেন হয়ে থাকে? সাধারণত দেখা যায়, যদি শরীরে হরমোনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাহলে ব্রণ হতে পারে। এ ছাড়া যারা স্টেরয়েড-জাতীয় খাবার বা ওষুধ গ্রহণ করেন, তাঁদেরও ব্রণজনিত সমস্যা দেখা যায়। বিউটিফিকেশনের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। সে ক্ষেত্রে তাঁরাও ব্রণজনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন।

নাহিদা আহমেদ বলেন, আমরা অনেকেই জানি না, ব্রণজনিত সমস্যার জন্য খাদ্যাভ্যাস অনেকাংশে দায়ী। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে বা অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ব্রণ বা অ্যাকনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা খাদ্যতালিকায় যেসব খাবার রাখবেন, তার মধ্যে পানি অন্যতম। অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এর পাশাপাশি যেসব খাবারে পানি রয়েছে, সেগুলো খেতে হবে। যেমন তরমুজ বা শসা। এ জাতীয় ফল অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখবেন। লাউ, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, পটল; এ জাতীয় সবজি, যেগুলো থেকে আমরা পানি পেয়ে থাকি, এগুলো খাদ্যতালিকায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করবেন।

এ পুষ্টিবিদ যুক্ত করেন, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, যেমন পালং শাক, কলমি শাক ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারি। খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যেমন বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, বাদাম রাখতে পারেন। এ খাবারগুলো শরীরের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করবে এবং ব্রণ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, ব্রণের সমস্যায় ভুগলে বিভিন্ন ধরনের ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। খাবারের তালিকায় বিটা ক্যারোটিন যুক্ত ফল রাখতে পারেন। যেমন পেঁপে, গাজর ও মিষ্টি কুমড়া। পেঁপে আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী এবং ত্বকের কালারের ভেতরে যে অসামঞ্জস্য থাকে, সেটা ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে থাকে। এ ছাড়া তাঁরা খাদ্যতালিকায় ম্যাগনেসিয়াম-জাতীয় খাবার, যেমন লাল চাল, লাল আটা, বাদাম, কলা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ আরও বলেন, ব্রণজনিত সমস্যায় ভুগলে খাদ্যতালিকায় টমেটো অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কারণ, টমেটোতে আমরা যে ধরনের উপাদান পেয়ে থাকি, সেগুলো সাধারণত আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ব্রণ হওয়ার পরে যে দাগ হয়, সে দাগগুলো রিমুভ করতেও সাহায্য করে।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।