শিশুর কথা বলতে দেরি হচ্ছে, কী করণীয়

Looks like you've blocked notifications!

সন্তান হওয়ার পরে অনেক অভিভাবক চিন্তায় থাকেন, কীভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ করা যায়। এ ক্ষেত্রে মা-বাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে শিশুর মানসিক বিকাশে মা-বাবার করণীয় সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে শিশুর বিকাশ নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজনীন আক্তার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।

এই যে বাবা-মায়েরা অনেক সময় বলে থাকেন, তাঁর ছেলে বা মেয়ের কথা বলতে দেরি হচ্ছে, কিংবা কানে আসলে কম শুনছে, এ বিষয়গুলো কীভাবে তাঁরা ধরতে পারবেন বা সে অনুযায়ী ডাক্তারের কাছে যাবেন? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাজনীন আক্তার বলেন, একজন শিশু যখন কথা বলবে, প্রথম কথাগুলো ফার্স্ট ক্রাই দিয়ে, সেটা স্পিচ। তারপর ভোকালাইজেশন, তারপর বাবলিং, তারপর ওয়ার্ডগুলো আসে এক বছরে। এক বছর পর যখন, তার আগেও মা-বাবা বুঝতে পারে যে, একটা শিশু শুধু কথা বলবে তা না; আমি তাকে ডাকব, সে সাড়া দেবে। সে সাড়া যদি না দেয়, তাহলে হয়তো তার শ্রবণেন্দ্রিয়ে সমস্যা আছে, সে কানে শুনতে পাচ্ছে না।

ডা. নাজনীন আক্তার বলেন, আরেকটা হতে পারে সে... বাবা-মা হয়তো বলছে, সে শুনতে পায়; আমি বুঝি সে শুনতে পায়, কিন্তু আমার ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। তাহলে আপনি কীভাবে বোঝেন সে শুনতে পায়? তার একটা পছন্দের অ্যাড হলো টিভিতে, সে দৌড়ে যাচ্ছে। অথবা তার বাবা বাসায় ফিরে কলিং বেল চাপছে, সে দৌড়ে যাচ্ছে। সে জানে এই সময় তার বাবা আসবে। বা তার প্রিয় পাখির শব্দে রেসপন্স করছে। কিন্তু যখন নাম ধরে ডাকছি, সে তাকাচ্ছে না, নিজের মনেই খেলছে। একটা হচ্ছে, সে শুনতে পায় না, বাবা-মা বুঝতে পারে যে জোরে শব্দ করলেও সে শোনে না। কিন্তু সে চোখে চোখে তাকায় ইশরায় কথা বলে। তাহলে যে বাচ্চাটা কানে শুনবে না, সে ইশারা ব্যবহার করবে। কিন্তু যে বাচ্চাটা কানে শুনছে, কিন্তু তার কথার রেসপন্স করছে না, তার মানে সে সোশ্যাল কমিউনিকেশনের স্কিলটা ব্যবহার করছে না। যেটা আমরা বলি নন-ভারবাল ওয়ে; সে কথা না বললেও নন-ভারবাল ওয়েতে প্রকাশ করছে।

শিশুর কথা বলায় সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।