সারা দিন এনার্জি পেতে সকালে করুন ৭ কাজ
মনে করা হয়, সকালবেলাই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। দিন শুরুর প্রথম এক-দুই ঘণ্টা আপনি কীভাবে কাটাবেন, তার ওপরেই নির্ভর করে বাকি দিনটা আপনার কীভাবে কাটবে।
জেনে নিন, দিনের শুরুটা দারুণভাবে কাটানোর কয়েকটা পরামর্শ। দিনের শুরুতে এই সাত কাজ করলে গোটা দিনে আপনিই হবেন 'বস'! বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ।
১. ঘুম থেকে উঠেই নিজের বিছানা নিজে পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখুন। অনেকেই এই কাজ না করলেও সব কাজ গুছিয়ে করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। খুব সাধারণ এই ঘরের কাজ আপনার মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সকালবেলা গুছিয়ে তোলা বিছানা আপনাকে মানসিক পরিতৃপ্তি দেয়। তাই দিনের শুরুতে এটাই হোক আপনার প্রথম কাজ।
২. ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি খেতে ভুলবেন না। সকালে শরীরকে আর্দ্র করা অত্যন্ত জরুরি। সকালে উঠে পানি খেলে শরীর এনার্জি পাবে, ঘুমিয়ে থাকা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ শুরু করবে। সকালে উঠেই এক গ্লাস পানি আপনার শরীরে সারা রাত ধরে জমা ক্ষতিকর টক্সিন বের করতেও সাহায্য করবে।
৩. এরপর করতে হবে ব্যায়াম। জিম হোক বা সাঁতার, হাঁটা হোক বা জগিং—সকালে উঠে ওয়ার্কআউট কিন্তু আবশ্যক। এতে শুধু আপনার শরীর নয়, এনার্জি পাবে আপনার মনও। কাজ করার নতুন উদ্যম পাবেন আপনি।
৪. সারা দিন আপনি কী কী করবেন, তার একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন এবার। যদি ব্যাংকে যেতে হয় বা ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকে, পাশে পাশে তার সময়ও উল্লেখ করুন। অগ্রাধিকার অনুযায়ী কাজগুলো সাজিয়ে ফেলুন। দেখবেন অনেক সহজে সব কাজ হয়ে যাচ্ছে।
৫. সকালে উঠে মোবাইল ফোন ঘাঁটা বন্ধ করুন। নতুন কী নোটিফিকেশন এলো, তা দেখতেই সকালে অনেকটা সময় নষ্ট হয় আমাদের। সকালে বেশ কিছুটা সময় শুধু নিজের জন্য রাখুন।
৬. এবার আপনি চটজলদি সারা দিনের জন্য তৈরি হয়ে নিন। দাঁত ব্রাশ করা, গোসল সারা, জামাকাপড় রেডি করে রাখা—সব সেরে ফেলুন ঝটপট। কোনটার পরে কোনটা করবেন, তা ঠিক করে ফেলুন।
৭. মর্নিং রুটিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সকালের নাশতা। সকালের খাবার হতে হবে স্বাস্থ্যকর ও পেটভর্তি। যা খুশি খেয়ে কাজে বেরিয়ে যাবেন না। দরকার হলে আগের দিন ঠিক করে রাখুন, পরের দিন ব্রেকফাস্টে কী খাবেন।
আপনার সারা দিন কেমন কাটবে, তার একটা আভাস সকালেই পাওয়া যায়। নতুন আশা, নতুন আকাঙ্ক্ষা জড়িয়ে থাকে প্রতিটি সকালেই। দিনের শুরুটা তাই সঠিকভাবে করতে পারলে সারা দিনে একটা ইতিবাচক প্রভাব জড়িয়ে থাকে।