স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের করণীয় কী

Looks like you've blocked notifications!

সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের অবশ্যই জীবন যাপন পদ্ধতি পালটাতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন আর অনিয়ম বর্জনই পারে আমাদের সুস্থ রাখতে।

এনটিভির সরাসরি স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন সুস্থতার ব্যবস্থাপত্র-এ সুস্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন আজগর আলী হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মো. আব্দুল হালিম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের কী কী করণীয় আছে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. আব্দুল হালিম বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এক নম্বর হলো, সঠিক সময়ে সুষম খাদ্যাভ্যাস। আমরা শরীরচর্চা করব, প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নেব, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাব, ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠব এবং বেশি বেশি পানি পান করব—আট থেকে ১০ গ্লাস প্রতিদিন। শাকসবজি ও ফলমূল বেশি বেশি খাব। আমরা সব সময় স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে লক্ষ রাখব। এগুলো যদি আমরা করি, তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে। আমাদের কাজে উদ্যম বাড়বে।

সঠিক সময় বলতে কী বোঝায়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. আব্দুল হালিম বলেন, সঠিক সময় বলতে আমি বুঝিয়েছি, সঠিক সময়ে সুষম খাদ্য। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করি না। আমরা সকালের খাবার খাই বেলা ১২টায়, ১২টার খাবার খাই ৪টায়, ৪টার খাবার খাই রাত ১০টায়। কিন্তু সঠিক সময় বলতে আমি বোঝাই, আমরা সকালের নাশতা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে করতে পারি। সুষম খাবার—আমি আগেই বলেছি। ১০ থেকে ১১টায় আমরা হালকা নাশতা খেতে পারি। আমরা যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ, নামাজ পড়ি অনেকেই, তাতে আমরা দুপুরের খাবার খাওয়া উচিত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে। কিন্তু যেহেতু আমাদের নামাজের বিরতি আছে দেড়টায় সাধারণত, ১টা ১৫ মিনিট থেকে দেড়টা, তখন আমরা বলতে পারি, ১২টা থেকে ২টার মধ্যে আমাদের দুপুরের খাওয়া শেষ করা উচিত।

ডা. মো. আব্দুল হালিম আরও বলেন, দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে আমরা একটু ব্রেক নিতে পারি। সেটা হচ্ছে হালকা নাশতা, একটু দুধ খেলাম, অথবা একটু চা খেলাম, সেটা সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে, আর কিছু খাব না এর মধ্যে। আমরা রাতের খাওয়াটা ৭টার মধ্যে শেষ করতে চাই। ১০টার দিকে আমরা হালকা কিছু খেতে পারি। এটাকে বলে সঠিক সময়ে খাওয়া।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।