হাই রিস্ক প্রেগন্যান্ট মায়ের কী কী জটিলতা হতে পারে

Looks like you've blocked notifications!

মাতৃত্বের স্বাদ কে না পেতে চায়। কিন্তু গর্ভধারণের আগে থেকে মাকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে, যাতে অনাগত সন্তান ও মা ঝুঁকিমুক্ত থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফ্যাক্টর যুক্ত থাকে। বয়স তেমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, হাই রিস্ক প্রেগন্যান্ট মায়ের কী কী জটিলতা হতে পারে।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি ও এ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ্যত্ব বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।

যাঁদের হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি রয়েছে, তাঁদের একদম শেষ পর্যায়ে বা ডেলিভারের আগ মুহূর্তে যদি তাঁর হাইপারটেনশন বা ব্লাড সুগার বা আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকে, সে ক্ষেত্রে কী কী ধরনের জটিলতা হতে পারে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান বলেন, হ্যাঁ, জটিলতা তো অবশ্যই আছে। এই জটিলতাগুলোকে প্রিভেন্ট করার জন্য আমরা প্রথমেই মায়েদের সচেতন করব। এখন যদি কোনও মা প্রথমেই না আসেন, তাহলে দেখা যাবে অলরেডি তিনি এই জটিলতাগুলো নিয়ে এসেছেন। এই জটিলতাগুলো যখনই উনারা নিয়ে আসেন, তখন কিন্তু শুধু গাইনোকলজির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তখন আমাদের এই জিনিসটা হয়ে যাবে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি।

ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান বলেন, মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি বলতে আমরা বুঝি, উনি অবশ্যই একটি টারশিয়ারি লেভেলের হসপিটালে আসবেন, উনি ভর্তি হবেন এবং উনার সার্বিক ট্রিটমেন্টের জন্য আমার একজন মেডিকেল কনসালটেন্ট জরুরি, উনার পরামর্শ আমাকে নিতে হবে। তারপর একজন অ্যানেসথেশিওলজিস্ট, উনার পরামর্শ আমাকে নিতে হবে এবং উনার ডিজিজ বুঝে, যেমন উনার যদি থাইরয়েডের প্রবলেম থেকে থাকে, ডায়াবেটিসের প্রবলেম যদি থেকে থাকে, তবে অবশ্যই আমাকে একজন এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে এবং সাথে একজন নিওন্যাটোলজিস্ট, বাচ্চাটা হওয়ার পরে কোনও সমস্যা থাকতে পারে যে মা থেকে গেল কি না, সেজন্য আমাকে নিওন্যাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। যখন তাঁর ডেলিভারি হবে, অবশ্যই ডেলিভারির সময় একজন সিনিয়র অবসটেট্রিসিয়ান থাকবেন। সে ব্যবস্থা আমাকে রাখতে হবে।

ডা. নূর-ওয়া-বুশরা জাহান আরও বলেন, এমন হতে পারে, ডিজিজ কন্ডিশনটাকে আমি মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচ যেটা বললাম, সেটা দিয়ে যদি তাঁকে আমি কমিয়ে আনতে পারি এবং কমিয়ে এনে তারপর আমাদের যে মোটিফ থাকে, আপ টু টার্ম তাঁকে নেওয়া, মানে অন্তত ৩৭ সপ্তাহ তাঁকে কমপ্লিট করা। কিন্তু সব সময় এ রকম সম্ভব নাও হতে পারে। তখন কিন্তু আমরা আগে একটা ইনজেকশন নিয়ে নিই, বাচ্চার যে লাং ম্যাচুরেশনের ব্যাপার থাকে, যাতে বাচ্চার কোনও প্রবলেম না হয়।

হাই রিস্ক প্রেগন্যান্ট মায়ের জটিলতা সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।