হিপ জয়েন্টে কী কী সমস্যা হতে পারে
অনেকে হিপ জয়েন্টে নানাবিধ সমস্যায় ভুগছেন। এ জন্য নিতম্বের অভ্যন্তরে বা কুঁচকিতে ব্যথার কারণ হতে পারে। নিতম্বের জয়েন্টকে ঘিরে থাকা পেশি, লিগামেন্ট, টেন্ডন ও অন্যান্য নরম টিস্যুর সমস্যার কারণে এ রোগ হতে পারে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে হিপ জয়েন্টের নানাবিধ সমস্যা সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে হিপ জয়েন্টের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. পারভেজ আহসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।
হিপ জয়েন্টে কী কী ধরনের সমস্যা আপনি দেখেছেন এবং বয়সভেদে কোনো তারতম্য আছে কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. পারভেজ আহসান বলেন, আমরা যারা অর্থোপেডিক সার্জন, তারা হিপ জয়েন্টের সমস্যাকে বয়সভেদে ভাগ করে থাকি। যেমন জন্মগত একটা সমস্যা আছে, সেটা হলো কনজেনিটাল ডিজলোকেশন অব হিপ। জন্মগতভাবে ফিমোরাল হেড তার অবস্থানে না থেকে সরে যায়, এটা একটা। বিশেষ করে এটা হয় যারা ডেলিভারি করে। গাইনোকলজিস্ট। তারা পা যখন টান দেয়, তখন সমস্যা হতে পারে। অনেকে বাসায় ডেলিভারি করায়, সেখানেও সমস্যা হতে পারে। দুই নম্বর হচ্ছে, বাচ্চা বয়সে অনেক সময় খাট থেকে পড়ে যায় বা তারা লাফঝাঁপ করতে পছন্দ করে এবং পড়ে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় যে হিপ জয়েন্টে তারা ব্যথা পায়। পরবর্তী সময়ে ওখানে রক্ত জমে গিয়ে সেপটিক আর্থ্রাইটিস হিপ হয়। এটা খুবই কমন এবং এটা অনেকের খুব সমস্যায় ফেলে দেয়। বিশেষ করে যদি ডায়াগনোসিস না হয়।
অধ্যাপক ডা. পারভেজ আহসান বলেন, আরেকটি বিষয় হলো, স্লিপড ক্যাপিটাল ফেমোরাল এপিফাইসিস। এপিফাইসিস জয়েন্ট থেকে স্লিপ করে ফেলে। এটা একটা সমস্যা দেখা যায়, যেটা ১২ বছরের পরে হয়। এর মাঝে আরেকটা সমস্যা দেখা যায়, সেটার নাম হচ্ছে পার্থিজ ডিজিজ। ফিমোরাল হেডে যে মাথাটা, এটা আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়। তারপর যে সমস্যাগুলো হয়, সেটা মোস্টলি ট্রমা বা ফ্র্যাকচার রিলেটেড বা আঘাতজনিত কারণে। যেমন ফ্র্যাকচার নেক অব দ্য ফিমার, এটা খুবই কমন এবং আরেকটু বয়সকালে যেটা হয়, সেটা হলো ফ্র্যাকচার ট্রকেনটার। এই যে বিবিধ সমস্যা, এসব নিয়েই বেশির ভাগ অর্থোপেডিক সার্জনরা ব্যস্ত থাকে।
বাবা-মায়েরা কীভাবে বুঝতে পারেন বা আপনারা কীভাবে এটিকে নির্ধারণ করেন যে বাচ্চা কনজেনিটাল এ ধরনের প্রবলেম নিয়ে, মানে সাইন-সিম্পটম জানতে চাচ্ছি আমি, সঞ্চালকের এ কথার জবাবে অধ্যাপক ডা. পারভেজ আহসান বলেন, এটা খুবই সমস্যা। অনেক সময় বাবা-মা এটা ধরতে পারে না। কিন্তু যদি বাবা-মায়েরা তার বাচ্চাকে একজন অর্থোপেডিক সার্জনের কাছে নিয়ে যায়, এমনকি শিশু বিশেষজ্ঞ অনেক সময় তার পায়ের এ সমস্যাটা ধরতে পারে যে কনজেনিটাল ডিসলোকেশন হয়েছে। এটা ধরা আসলেই কঠিন। অনেক সময় এক্সরেতেও বোঝা যায় না। আপনারা হয়তো জানেন, এপিফাইসিস অনেক সময় এক্সরেতেও আসে না। এমনকি আলট্রাসনোগ্রাম, সেখানে আসতেও বেশ দেরি হয়ে যায়। যদি ক্লিনিক্যালি এফিসিয়েন্ট অর্থোপেডিক সার্জন ধরতে পারে, এটা ডিসলোকেশন।
হিপ জয়েন্টের বিভিন্ন সমস্যা ও এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।