ডায়রিয়া কখন মারাত্মক?

ডায়রিয়া অনেক সময় মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায়। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬০১তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. কবির হোসেন। বর্তমানে তিনি আর পি মেডিকেলের শিশু বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মারাত্মক ডায়রিয়া নিয়ে রোগীরা এলে আপনারা কী করেন?
উত্তর : মারাত্মক ডায়রিয়া আমরা তখনই বলব, যখন ডায়রিয়ার সঙ্গে বমি থাকবে। তখন তাকে আমরা আইভি স্যালাইন দেব পানিশূন্যতা কমানোর জন্য। বমি যখন কমে যাবে, তখন আমরা মুখে খাওয়ার স্যালাইনে চলে যাব।
প্রশ্ন : অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সাধারণ ডায়রিয়াতেও মা-বাবারা অধৈর্য হয়ে যান। এ ক্ষেত্রে তাঁদের আশ্বস্ত করেন কীভাবে?
উত্তর : আসলে ডায়রিয়ার ব্যাখ্যা অনেকেই জানে না। ২৪ ঘণ্টায় তিনবার ২০০ এমএলের বেশি পায়খানা হতে হবে। তাহলে একে ডায়রিয়া বলব। অনেকে হয়তো ৫০ এমএল পায়খানা করেছে অথবা তিনবার করেনি, দুবার করেছে। একে ডায়রিয়ার ব্যাখ্যার মধ্যে ফেলা যাবে না। আগে জানতে হবে, ডায়রিয়া কাকে বলে। অনেকে হজমে সমস্যাকে ডায়রিয়া মনে করে।
প্রশ্ন : মুখে স্যালাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি ওষুধ খাওয়ানোর যে বিষয়টি, সেটি আপনারা কখন করেন?
উত্তর : অনেক সময় ডায়রিয়ার সঙ্গে জ্বর বা অন্য কোনো জটিলতা থাকে। পায়খানা যদি পরীক্ষা করে দেখা যায় তার জীবাণু আছে, তখন আমরা তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দিই। অ্যান্টিবায়োটিক চলে তিন থেকে পাঁচ দিন।
প্রশ্ন : শুরুতেই যে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা দেখি সেটি আসলে কতটা যৌক্তিক?
উত্তর : আসলে এভাবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর জন্য ওষুধের রেজিসটেন্স দিন দিন বাড়ছে। ডোজ ঠিকমতো না খাওয়ানোর জন্য আমাদের যে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকগুলো, সেগুলো আর ঠিকমতো কাজ করছে না। আশা করছি, শুরুতেই যেন এমন না করা হয়।