কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের উপায় কী?
কিডনির পাথর খুব প্রচলিত সমস্যা। কিডনিতে ভীষণ রকম ব্যথা ও অস্বস্তি এর উপসর্গ। উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম, সিসটিন, অক্সালেট ও সোডিয়াম কিডনিতে পাথরের কারণ। অনেক সময় পরিবারে কারো এ সমস্যা থাকলে তার কিডনিতে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কিডনির পাথর প্রতিরোধ করা যায়।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন। শরীরে পানিশূন্যতা হলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
সবজি কম খেয়ে মাংসজাতীয় খাবার বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই খাবারে সবজি রাখবেন অবশ্যই।
তবে কিছু কিছু সবজিতে উচ্চমাত্রার অক্সালেট থাকে, যেমন : পালংশাক, বরবটি ইত্যাদি। এ ছাড়া কিছু ফলেও বেশি মাত্রায় অক্সালেট থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অক্সালেট বেশি এমন খাবারগুলো একটু কমিয়ে খাওয়া ভালো।
গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চমাত্রার চিনি, সোডিয়াম, চর্বি খাদ্যতালিকায় বেশি থাকলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। সোডা ও কৃত্রিম মিষ্টিজাতীয় পানীয় পান কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। তাই এসব খাবার কম খান।
এ ছাড়া খুব বেশি ভিটামিন-সি খেলেও কিন্তু কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাই প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন-সি প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই খান। আর কতটুকু ভিটামিন-সি আপনার খাওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এ ছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করুন। গবেষণায় বলা হয়, ব্যায়াম কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে।