বন্ধ্যত্বের কী কী চিকিৎসা বাংলাদেশে আছে?
বন্ধ্যত্বের ভালো চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে রয়েছে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬২৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নাজলিমা নারগিস। বর্তমানে তিনি ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্বের এখন কী কী ধরনের চিকিৎসা বাংলাদেশে হচ্ছে?
উত্তর : বন্ধ্যত্বের যে কারণগুলো আমি বললাম, তেমনি কারণগুলো চিহ্নিত করা গেলে চিকিৎসাও সম্ভব। তবে আমাদের দেশে একটি বিষয় আছে, সহজেই মানুষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার জন্য যেতে চান না। তবে কোনো দম্পতি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ না করে তারা যদি শুরুতেই চিকিৎসকের কাছে আসেন এবং চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন, তাহলে ভালো হবে। এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
আমার মনে হয়, যখনই কোনো দম্পতি সন্তান ধারণের কথা চিন্তা করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ না করলে, সবারই উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। আর বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার মধ্যে এখন অনেক নতুন নতুন পদ্ধতি এসেছে। আগে মনে করা হতো, ছেলেদের মনে হয় চিকিৎসার আর কোনো উপায়ই থাকে না। কিন্তু ছেলেদের যেখানে সিমেন অ্যানালাইসিস বা বীর্য পরীক্ষা যাকে বলে—এটি করে যদি আমরা দেখি, সিমেন অ্যানালাইসিসের বিভিন্ন ধরনের প্যারামিটার আছে আমাদের এখানে। সে অনুযায়ী দেখে যদি এটা ওষুধ দিয়ে সারানোর মতো হয়, ইনজেকশন দিয়ে সারানোর মতো হয়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা করে থাকি। এর পর আইইউআই বলে থাকে।
ইন্ট্রা-ইউটেরাইন ইনসামিনেশন বলে একটি বিষয় থাকে, এখানে স্বামীর শুক্রাণু স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। এটা টেস্ট টিউব নয়। সিমেনটা স্ত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ উপায়ে এটা গর্ভধারণ করার চেষ্টা করে। এরপরও যদি না হয়ে থাকে, বা শুক্রাণুর পরিমাণ এমনই কম থাকল যে যেটা দিয়ে আর সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে শেষ পর্যন্ত গিয়ে টেস্টটিউব বেবির কথা বলা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : আর্টিফিশিয়াল ইনসেমিনেশন আর টেস্টটিউব বেবির মধ্যে পার্থক্য কী? কোনটি কোন সময় করা হচ্ছে?
উত্তর : স্বামীর সিমেনে যে প্যারামিটারগুলো দেখা হয়, সেখানে যদি সিমেনে স্পার্মের পরিমাণ একেবারেই কম থাকে, যেটা দিয়ে ওষুধ বা আইইউআইর মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে না—তখন বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে এগুলো করা হয়ে থাকে।