দাঁত ব্রাশের সময় খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয়
কথায় বলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না। আসলে দাঁত ভালো রাখা সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। ভালোভাবে ব্রাশ করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৪৪তম পর্বে এ কথা বলেছেন ডা. সৈয়দ তামিজুল আহসান রতন। বর্তমানে তিনি রতন’স ডেন্টালের প্রধান পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : দাঁতে ব্রাশ করতে কী ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে এবং কী ধরনের পেস্ট ব্যবহার করব?
উত্তর : নবীজী হজরত মোহাম্মদ (সা. )-এর সময় কি ব্রাশ ছিল? মেশওয়াকই ব্রাশের কাজ করত। তখন কি কোনো টুথপেস্ট ছিল? ছিল না। তাহলে কি মুখ পরিষ্কার হতো না। তাহলে সেখানে পেস্টের কী ভূমিকা থাকতে পারে? এই জিনিসগুলো আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের মুখের মধ্যে যেন কোনো খাদ্যকণা লেগে না থাকে, সেটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। এখন ব্রাশ বেরিয়ে গেছে। এতে হয়েছে কি আগে যেমন ডাল থেকে রস নির্গত হতো, এখন ব্রাশ থেকে তো আর রস নির্গত হয় না, এই জন্য পেস্টের একটি ভূমিকা হচ্ছে, লুব্রিকেন্ট এজেন্ট। এখন কিছু কিছু উপাদান আছে, যেগুলো আমাদের খুবই প্রয়োজনীয়। এগুলো অ্যান্টি সেপটিকের কিছু কাজ করে। মুখের মধ্যে যদি খাদ্যকণা লেগে থাকে, মাড়ি যেন ছিলে না যায়, এই জন্য লুব্রিকেন্ট কাজ করছে। দাঁতের শিরশির ভাব বন্ধ করে। এই জন্য পেস্টের ভূমিকা এখানে চলে আসে। কিছু জীবাণু রোধক জিনিস রয়েছে। তাই ভালো মানের পেস্ট ব্যবহার করতে হবে। নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।
পেস্ট বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্টিকি (আঠালো) ও সুইট (মিষ্টি)। এখন পেস্ট যদি দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে ঢুকে থেকে যায়, তাহলে এটি আবার বিপরীত কাজ করবে। এর প্রধান কারণ হলো মিষ্টি। তখন ব্যকটেরিয়ার বৃদ্ধি বেড়ে যাবে। তখন এসিড তৈরি থেকে শুরু করে, বিষাক্ত পদার্থ বের হওয়া থেকে শুরু করে, অনেক কিছু হবে। এই জন্য রাতের বেলায় যদি এক ফোঁটা মাউথ ওয়াশ নিয়ে ওটা দিয়ে ব্রাশ করা হয় তাহলে ভালো হয়। এটি মাউথ ওয়াশ, পেস্ট ও অ্যান্টিস্যাপটিকের কাজ করবে।
বেশির ভাগ লোকের ক্ষেত্রে দেখা যায় রাতের বেলা একটু মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলি করে। এই কুলিটাই সেভাবে না করে যদি ব্রাশে লাগিয়ে নিয়ে ব্রাশ করে, তাহলে দেখা যাবে সুবিধা হবে। আর মাউথওয়াশ স্টিকিও নয়। দাঁতের ফাঁকেও ঢুকে থাকছে না এবং ব্রাশের কাজ হচ্ছে। আর ব্রাশ করতে হবে এক থেকে তিন মিনিট। রোটেশন মুভমেন্ট বা চক্রাকারে ব্রাশ করতে হবে। হরাইজন্টালভাবে বা অনুভূমিকভাবে ব্রাশ করলে দেখা যাবে দাঁতের গোড়াগুলো ক্ষয় হয়ে যাবে। তখন এগুলো বেশি স্পর্শকাতর হয়ে যায়। আর অনেক্ষণ ধরে ব্রাশ করা যাবে না।