ব্যথানাশক ওষুধ দীর্ঘদিন নয়
ব্যথা কমাতে হরহামেশাই ব্যথানাশক ওষুধ খাই আমরা। সাময়িকভাবে ব্যথানাশক ওষুধ তেমন ক্ষতিকর না হলেও দীর্ঘদিন এ ধরনের ওষুধ খাওয়া মারাত্মক ক্ষতিকর। অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই দিনের পর দিন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে যান। তা ছাড়াও যারা বিভিন্ন আর্থ্রাইটিস বা বাত রোগে অথবা ডিজেনারেটিভ ডিজিজ বা বয়সজনিত হাড়ের ক্ষয় রোগ যেমন - রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, এনকাইলোজিং স্পনডাইলাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, স্পনডাইলোসিস ইত্যাদি রোগে ভোগেন তাঁদের নিয়মিতই কোনো না কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খেতে দেখা যায়।
তবে দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ খেলে আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। যেমন : কিডনি, লিভার, পাকস্থলি ইত্যাদির ক্ষতি হতে পারে, এমনকি বিকলও হয়ে যেতে পারে।
যার ফলে রোগীর বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।যেমন – তীব্র পেটে ব্যথা, পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া, রক্তবমি হওয়া, রোগীর পা ও মুখ ফুলে যাওয়া, চোখের নিচে পানি জমা, প্রসাব কম হওয়া বা প্রসাব বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
একাধিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ব্যথানাশক ওষুধ বা এনএসআইডি জনিত আলসার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তাই এর প্রতিরোধ জরুরি।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন ব্যথা নাশক ওষুধ সেবন না করাই ভালো। এ ছাড়া বিভিন্ন রকম ব্যথায় আর্থ্রাইটিস বা বাত রোগে, হাটু, ঘাড়, কোমড় ও কাধের ব্যথায় ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও রোগ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যার মধ্যে হাইড্রোথেরাপি, ম্যানুয়াল থেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি ও থেরাপিউটিক ব্যায়াম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ডা. এম ইয়াছিন আলী, বাত, ব্যথা, পারালাইসিস ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চীফ কনসালটেন্ট ,ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা।