মেছতা বা ত্বকের রং পরিবর্তন হলে চিকিৎসা কী?
ত্বকের পিগমেন্টেশন ডিজঅর্ডারের কারণে মেছতা হতে পারে। এমন হলে কী করণীয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৪৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন। বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেলের ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ত্বকের রং পরিবর্তনের সমস্যা নিয়ে রোগীরা এলে পরামর্শ কী দেন এবং চিকিৎসা কী দেন।
উত্তর : আমি মেছতার কথা বলি। বেশির ভাগ রোগী এসেই বলে আমাকে এমন একটি ক্রিম দিয়ে দেন যেন এক মাসের মধ্যে পুরো দাগটা চলে যায়। এ রকম কিছু নেই। আমাদের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই এই পিগমেন্টেশন হয়েছে। এই কোষগুলো যদি স্বাস্থ্যকর দিকে নিয়ে যেতে চাই, আমাকে একটু সময় দিতে হবে। আমরা নানা রকম ক্রিম ব্যবহার করি। ব্লিচিং ক্রিম বা রং ফর্সাকারী ক্রিমের নানা ধরনের প্রবণতা থাকে। এগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। দেখা গেছে, আমার যে জায়গায় পিগমেন্টেশন হয়েছে, সেখানে দিয়ে জিনিসটি হালকা হয়েছে। তবে এর চারপাশে কালো একটি এলাকা তৈরি হয়েছে বা হাইপোপিগমেন্টেশন হয়েছে। স্বাভাবিক যে রং, সেটি পুরোটাই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। খাবারদাবারের বিষয়ে বুঝেশুনে খেতে হবে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খাব। এটি আমাদের পিগমেন্টেশনকে প্রাকৃতিকভাবে কমিয়ে ফেলবে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবারের পরই আসছে কিছু সাপ্লিমেন্ট। যেমন স্যালেনিয়াম। এটি খুব ভালো সাপ্লিমেন্ট। এটি ম্যালানোসাইট কোষকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করবে। এক-দুই মাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত মেলানোসাইটকে স্বাস্থ্যকর মেলানোসাইটে নিয়ে যায়। এতে পিগমেন্টেশনটা হালকা হয়ে যাচ্ছে। তার জটিলতাগুলো পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন : কত দিন লাগে পুরো বিষয়টি সারতে?
উত্তর : মেছতার বিষয়ে কিছু ব্যাপার আছে। এটা যদি আমাদের অগভীর ত্বকে হয়, সুপারফেসিয়াল লেয়ারে থাকে, তাহলে পুরোপুরি সেরে যায়। কিন্তু ত্বকের গভীরে যদি হয়, সেরে যেতে সময় তো লাগেই। অনেক সময় না গেলেও দাগ শুধু হালকা হয়। এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ হয়ে যায়।