দাঁতের ফিলিং কত দিন পরপর উচিত?
দাঁতের ফিলিংয়ের বর্তমানে অনেক আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। তবে বেশিদিন এক ফিলিং দাঁতে না রাখাই ভালো। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৫৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন রতন’স ডেন্টালের প্রধান পরামর্শক ডা. সৈয়দ তামিজুল আহসান রতন।
প্রশ্ন : আগে যে মেটালিক ফিলিং করা হতো, যেটা দিয়ে মাড়ির দাঁত শক্তি পেত, এখন যে কম্পোজিট ফিলিং, সেটা দিয়েও কি একই রকম শক্তি পাবে?
উত্তর : হ্যাঁ, পাবে। তবে ফিলিং যদি ভালোও থাকে, প্রতিবছর দুবার উচিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। যাদের মুখে ফিলিং আছে, আমি মনে করি প্রতি দুই থেকে পাঁচ বছরের মাথায় ফিলিংগুলো পরিবর্তন করে নেওয়া ভালো। কারণ, ওই জিনিসগুলো যখন পেছনের দাঁতে ব্যবহার হয়, তার আশপাশে লিকেজ হয়। লিকেজ হওয়ার কারণে ওই সব জায়গায় খাবার ঢুকতে থাকে। তখন মুখের মধ্যে যে পানি বা লালা সেটিও লিকেজে ঢুকে। এর মধ্যেও ব্যাকটেরিয়া থাকে। তখন সেগুলো ধীরে ধীরে আরো বেশি স্পর্শকাতর হয়ে যায়। এই জন্য প্রতি পাঁচ বছর আমি মনে করি, ফিলিংগুলো ভালো থাকার জন্য পরিবর্তন করে নেওয়া উচিত। আমি প্রতিটি রোগীর জন্য এই পরামর্শই দিচ্ছি।
প্রশ্ন : রে দিয়ে যে কালার মেচিং ফিলিং দিচ্ছি, এতে কি ক্ষতি করে?
উত্তর : অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাঁরা ফিজিওথেরাপিস্ট কিংবা অর্থোপেডিকস, তাঁদের এক ধরনের আলো আছে, সেটি ব্যথা কমাবার জন্য। জয়েন্টে আলোটি দেওয়া হয়, একে নিরাময় করার জন্য। আমাদের মুখে যে জিনিসগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলো সম্পূর্ণ গবেষণালব্ধ উপাদান। আমরা আসলে রে নয়, এক ধরনের আলো দিই। আমরা যেই আলোটি দিচ্ছি তার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু আমরা যেটা দিচ্ছি, সেটি একটি আলো। এতে উপাদানটা শক্ত হয়ে যায়। এটা ক্ষতিকর জিনিস নয়।
প্রশ্ন : একটি ফিলিং দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে, নাকি পড়ে যেতে পারে—এ বিষয়টি কোন কোন শর্তের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : আমরা যে ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করি এর গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ থাকে, দুই বছর বা পাঁচ বছর। তাই আমি বলি যে দুই বা পাঁচ বছর পর পরিবর্তন করিয়ে নিতে।