নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়?
খুব জটিল অবস্থা সারিয়ে তোলার জন্য রোগীকে সাধারণত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৫৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. সিনহা আবুল মনসুর। বর্তমানে তিনি নাসাউ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ফ্যাকাল্টি অ্যানেসথেসিয়ার ফ্যাকাল্টি হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : আইসিইউতে নিয়ে কী করা হয়?
উত্তর : একটি রোগী যখন আইসিইউতে যায়, যাওয়ার প্রথম দেখার বিষয় হলো এই রোগী কেন যাচ্ছে আইসিইউতে। এর সমস্যা কী? প্রথম কথা হলো, এ সমস্যা আমি সাধারণভাবে মেটাতে পারব না। হয়তো এই রোগীর জন্য একটি ভেন্টিলেটর লাগবে। রোগী শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছে না। তাকে একটি লাইফ সাপোর্টে নিতে হবে। সেটা দিতে হলে আইসিইউতে যেতে হবে। প্রথম কথা হলো আইসিউতে তার লাইফসাপোর্ট হয়ে গেল। লাইফ সাপোর্ট বড় কথা নয়, এর বিষয় হলো রোগীকে আমি বাঁচিয়ে রাখছি। তাহলে রোগীর হয়েছেটা কী? রোগীর কিডনিতে সমস্যা, নাকি রোগীর হার্টে সমস্যা, নাকি রোগীর মস্তিষ্কে সমস্যা, নাকি ফুসফুসে সমস্যা—এগুলোকে বের করতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বের করতে হবে সমস্যাটা কোথায়? ওই সমস্যার চিকিৎসা সেখানে করতে হবে। যখন রোগী চলে এলো আইসিইউতে, তখন রোগীর হার্ট রেট, ব্লাডপ্রেশার, কিডনির কাজ দেখার জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। তারপর আপনার ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করতে পারছে কি না, ওগুলোর জন্য কিছু এবিজি করা হয়। এগুলো ত্রুটিক্যাল ইউনিটে করা হয়। ওগুলো দেখে সিদ্ধান্ত নিই যে এই রোগীটির কোন ওষুধ লাগবে।
আসলে একটি ভীতি আমাদের মনে কাজ করে। এটি হলো আইসিইউতে যে রোগীটা যাচ্ছে, সেটি আর ফিরবে না। আসলে এটি ভুল ধারণা। আইসিইউতে রোগী যাওয়া মানে রোগীটি ভালো চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। তার অবস্থা এমনিতেই খারাপ, আরো যাতে খারাপ না হয় এ জন্য সে যাচ্ছে। শুধু সেটি নয়, ওই খারাপকে যাতে চিকিৎসা করা যায়, ওই জন্য যে যাচ্ছে আইসিইউতে। এখন ওই খারাপের যে চিকিৎসা পদ্ধতি, সেই পদ্ধতির ওপর নির্ভর করবে, এই রোগীটা কতটুকু ভালো হবে। এখন যদি এমন হয় যে রোগীর সমস্যা ধরা পড়ে এবং সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা হচ্ছে, তাহলে রোগী বেঁচে ফিরবে। অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা পাওয়া যায়। চিকিৎসার সময় পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রেই ভালো ফল হয়।