নির্যাতনের আলামত কীভাবে সংরক্ষণ করবেন?
ধর্ষণের পর অনেক সময়ই শোনা যায়, আলামত নষ্ট হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আলামত যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য কী করণীয়—এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৬৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ধর্ষণের মামলায় অনেক সময় আমরা সংবাদমাধ্যমে জানতে পারি, আলামত পাওয়া যায় না। একটু বলবেন কি, একজন নারী যদি এ রকম ঘটনার শিকার হন, সে ক্ষেত্রে যথাযথ রিপোর্ট পাওয়ার জন্য তার কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার এই পরীক্ষা পর্যন্ত?
উত্তর : ঘটনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেয়াল করতে হবে যে সে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলছে কি না। অনেক ক্ষেত্রে সময় বেশি অতিবাহিত হয়ে এই ধর্ষিতাকে আমাদের কাছে আনা হয়।
প্রশ্ন : কত সময়ের মধ্যে আনলে ভালো?
উত্তর : না ধুয়ে আনলে সবচেয়ে ভালো। আর পাঁচ দিন/সাত দিন বা ১০ দিন পেরিয়ে গেলেই এখানে আলামত পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। সুতরাং যত তাড়াতাড়ি আনা সম্ভব, ততই ভালো।
প্রশ্ন : অনেক সময় মতামতে আসে নারীদের ফরেনসিক টেস্ট নারীদেরই করা উচিত। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
উত্তর : এখন বিভিন্ন জায়গায় নারীরাই পরীক্ষা করছে। এভাবেই আইন হয়েছে। সাধারণত আমাদের দেশে সদর হাসপাতালের যেই পরীক্ষাগুলো হয়, সেগুলো ডাক্তাররা করেন সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধায়নে। যেখানে মেডিকেল কলেজ আছে, সেখানে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তাররা এগুলো করে থাকেন। কিন্তু পরীক্ষক যে ডাক্তাররা আছেন, যাঁরা এই পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সংখ্যা অপ্রতুল।