হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কী করবেন?
যেকোনো রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোই উত্তম। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৭০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এম জি আজম। বর্তমানে তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের জন্য পরামর্শ কী?
উত্তর : হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করার জন্য পরামর্শ হলো, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। আমি যেই কথাটি বলতে চাচ্ছি, হৃদরোগ চিকিৎসা যেহেতু ব্যায়বহুল, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত। ইচ্ছে করলেই আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তাহলে আমাদের হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে পারি। ধরেন আমি যদি ধূমপান করে থাকি, ধূমপান বন্ধ করলে আমার ঝুঁকি কমে গেল। আমার যদি ডায়াবেটিস থাকে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণ করি, আমার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে গেল।
উচ্চ রক্তচাপ বেশি? আমি যদি কেবল ওষুধ খেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখি, অনেকটুকু ঝুঁকি কমে যাচ্ছে। আমি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করি, নিয়মিত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করি- তাহলে আমার সমস্যা অনেকটুকু কমে গেল, আমি প্রতিদিন লাল মাংস খাচ্ছি, বিভিন্ন রকম চর্বি জাতীয় খাবার খাচ্ছি- এগুলো যদি আমি নিয়ন্ত্রণে রাখি, তাহলে আমার অনেকটুকু ঝুঁকি কমে যাচ্ছে। আমার যে কথাটা বলার বিষয়, আমরা যদি একটি সুস্থ, সুন্দর জীবন গড়তে চাই, আমরা যদি নিয়মানুবর্তী জীবন যাপন করি, তাহলে ভালো থাকতে পারব। নিয়মানুবর্তীজীবন যাপন কী? যাতে সবচেয়ে কম খরচ। প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করলে আমার পয়সা খরচ হচ্ছে না। আমি যদি ধূমপান বন্ধ করে দেই, আমার পয়সা খরচ হচ্ছে না। পয়সা আরো বাঁচছে। ডায়াবেটিস যদি আমি নিয়ন্ত্রণে রাখি তাহলে এই সংক্রান্ত জটিলতাগুলো আমার থাকছে না।
দর্শকদের বলব, আপনাকে নিজেকে সীদ্ধান্ত নিতে হবে, এটি আমার জীবন, একে আমি সুন্দরভাবে গড়ে তুলব। আমার হৃদপিণ্ডকে আমি সুস্থ রাখব।