খাবারের রং বাড়াচ্ছে কিডনি রোগ
খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল কিডনি রোগ বাড়িয়ে দেওয়ার একটি বড় কারণ। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৭২ ম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন দুজন চিকিৎসক। একজন অধ্যাপক মো. হানিফ। বর্তমানে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত। অপরজন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কিডনি বিভাগে অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : পর্যাপ্ত পানি পান করা বলতে কী বুঝি? যদি তার কিডনিতে অন্য কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে একদিনে তার কতটুকু পানি পান করা উচিত? খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল কিডনি রোগকে বাড়িয়ে দিচ্ছে- এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য?
অধ্যাপক হাবিবুর রহমান : পানি পান করার পরিমাণটা আসলে বয়স ভেদে নির্ভর করে। এক বছরের একটি বাচ্চার পানি পান করার পরিমাণ, নিশ্চয়ই একটি ১০ বছরের বাচ্চার সমান হবে না। তবে একটি ১০ বছরের ছেলে বা মেয়ের প্রতিদিন কম পক্ষে এক লিটার পানি পান করা উচিত। আর এক বছরের নিচে একটি বাচ্চা তো মায়ের বুকের দুধ খায়। তার ক্ষেত্রে বেশি বেশি পানি পান করার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কিছু নেই।
আর খাদ্যদ্রব্যের ভেজালের ক্ষেত্রে বলব, খাবারের ব্যবহৃত বিভিন্ন রং কিডনির ক্ষতি করছে। অনেক ধরনের খাবার আছে যেগুলো নেফ্রোটক্সিক। কিডনির ন্যাফ্রোনগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। এতে ধীরে ধীরে কিডনিটি বিকল হয়ে যায় এবং কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে।
অধ্যাপক মো. হানিফ : ভেজাল কেবল রং নয়, আমাদের পণ্য উৎপাদন থেকে ঠিক করতে হবে। যেমন আপনি দেখবেন সাভার অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য নদীতে যাচ্ছে। আগে কারখানায় ডিডিটি ব্যবহার করা হতো। এটি খুব ক্ষতিকর। আমি খাওয়ার পর আমার শরীর থেকে এটি মলমূত্রের সঙ্গে বের হবে। যেই জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করা হবে সেখানেও সমস্যা হবে। সেখান থেকে ক্ষতি করবে। সেই জন্য বিভিন্ন কারখানার পণ্য যেগুলো রয়েছে, কারখানার বর্জ্য যেগুলো আছে- এগুলো যদি ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা করা না যায়, তাহলে অসুবিধা। আর এই রঙের বিষয়গুলো শুধু কিডনিকে আক্রান্ত করছে না। অন্যান্য জায়গাকেও আক্রান্ত করছে। এই জিনিসগুলো আমরা সঠিকভাবে যদি স্ক্রিনিং করতে না পারি, তাহলে সমস্যা হয়। এটিও কিন্তু একটি প্রতিরোধের বিষয়।