ডায়াবেটিস হলে কিডনি পরীক্ষা করান
ডায়াবেটিস হলে কিডনির কার্যক্রম ঠিক আছে কি না, সেটি মাঝেমধ্যে পরীক্ষা করা উচিত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৭৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. শামীম আহম্মেদ। তিনি জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক ও অধ্যাপক।
প্রশ্ন : একজন ডায়াবেটিস রোগীর কিডনির অবস্থা জানতে কত দিন পর পর কোন পরীক্ষাগুলো করা উচিত? কী পরীক্ষা করবে?
উত্তর : রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস আছে কি না, অনেকে জানে না। আমি মনে করি, কিছু পরীক্ষা তো করা যায়। প্রেশার মাপলেন। ব্লাডের সুগার পরীক্ষাও করলেন, আর ইউরিন পরীক্ষা করলেন। এই তিনটি পরীক্ষা করলে আমার মনে হয়, ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি খরচ হয় না।
দ্বিতীয় বিষয় হলো আমার যখন ডায়াবেটিস হলো, রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, সেটি দেখতে হবে। আমরা যেটা বলি স্ক্রিনিংয়ের জন্য, যার পরিবারে ডায়াবেটিস আছে, কিডনি রোগ আছে, যার বয়স ৪০, যার ওজন বেশি, তার বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত। সেই পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ইউরিন পরীক্ষা করেন, একটা ব্লাড সুগার করেন, কিডনি ফাংশন পরীক্ষা করেন। এই তিনটি পরীক্ষা করলে ৮০ ভাগ কিডনির রোগ শনাক্ত করতে পারবেন। ডায়াবেটিস হলে মাঝেমধ্যে কিডনির কার্যক্রম পরীক্ষা করান।
এখন চিকিৎসার ক্ষেত্রে আসেন। চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাফিলতি হলো আমার উচ্চ রক্তচাপ আছে আমি জানি, আমি ওষুধ একদিন খেলাম। আরেকদিন খেলাম না। আপনি যেই ওষুধই খান, সেটি নিয়মিত খেতে হবে। মাঝেমধ্যে ওষুধ খাওয়া যাবে না। নিয়মিত খেতে হবে। ডায়াবেটিসের ওষুধের ক্ষেত্রে ওষুধ খান। সুগার দেখেন। তারপর আবার খান। ওষুধের পরিবর্তন নিজে নিজে করবেন না।
ডায়াবেটিস হওয়ার আগে স্থূলতার বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং হয়ে গেলে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রণে রাখলেই জটিলতাগুলো হবে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের হার্ট ডিজিজ আছে। ডায়াবেটিস হলো কিডনি, হার্ট, চোখ, নাক সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।