যক্ষ্মা : চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন?
যক্ষ্মার চিকিৎসা প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু করলে রোগ দ্রুত নিরাময় হয়। দেরি হলে রোগের জটিলতা বাড়ে। তাই কী ধরনের লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, সেটি জানা প্রয়োজন।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৮৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মাহবুবুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি আল-মানার হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে কখন যাবে?
উত্তর : দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের মানুষ এখনো এত সচেতন হতে পারেনি। যক্ষ্মা দিবসের উদ্দেশ্য হলো যক্ষ্মা হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা। একটি লোকের তিন সপ্তাহের বেশি কাশি আছে, জ্বর আছে, ক্ষুধামান্দ্য আছে, ওজন কমে যাচ্ছে—এগুলো দেখলে যেন সে চিকিৎসকের কাছে যায়।
প্রশ্ন : রোগনির্ণয় আগে হলে কি চিকিৎসা দ্রুত হয়?
উত্তর : অবশ্যই। যদি আগে নির্ণয় করা যায়, তাহলে জটিল যক্ষ্মা রোগ হবে না। ছয় মাস রোগী নিয়মিত চিকিৎসা করলে ভালো হয়ে যাবে। আর যদি কোনো রোগীর খুব জটিল সমস্যা হয়, তার কিন্তু চিকিৎসা হয় না। আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে। রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন : আপনারা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্র কী কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করছেন?
উত্তর : যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসার জন্য আমাদের হাতে অনেক ওষুধ আছে। বাংলাদেশ সরকার এবং এনজিওগুলো সারাদেশে ডিওটি পদ্ধতির তত্ত্বাবধায়নে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা করছে। এতে ছয় মাসের চিকিৎসা লাগে। প্রথম দুই মাস এক ধরনের চিকিৎসা দিই। পরের চার মাস আমরা ভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিই।
প্রশ্ন : ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কী ধরনের পরামর্শ দেন রোগীকে?
উত্তর : আমরা আগে যক্ষ্মা রোগটি নির্ণয় করি। দেখি এই যক্ষ্মা রোগটি ছোঁয়াচে, নাকি ছোঁয়াচে নয়। আমরা ফুসফুসের যক্ষ্মা রোগীদের কফ পরীক্ষা করে দেখি। যদি যক্ষ্মা রোগী ছোঁয়াচে হয়, তাহলে ওই পরিবারের যাঁরা আছেন, তাঁদের স্ক্রিনিং করতে বলি কফের মাধ্যমে, অথবা বুকের এক্স-রের মাধ্যমে। তারপর আমরা চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসি। চিকিৎসাটা অন্যান্য রোগের চেয়ে লম্বা। এই চিকিৎসা করার জন্য আমরা নিয়মিত অবিরাম ওষুধ খেয়ে যেতে বলি। এটা আমরা কারো তত্ত্বাবধায়নে দিয়ে দিই। কোনোভাবেই যেন মিস না হয়।