কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় যে কাজগুলো করবেন না
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি বিব্রতকর সমস্যা। চিকিৎসা না করা হলে এ থেকে পাইলস বা হজমের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় কিছু কাজ অবস্থাকে আরো খারাপ করে দেয়। তাই সে কাজগুলো করা থেকে এ সময় বিরত থাকাই ভালো।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় যে বিষয়গুলো অবস্থাকে আরো খারাপ করে দেয়, সেগুলো সম্পর্কে জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
১. প্রক্রিয়াজাত খাবার
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। যেমন : পিৎজা, ফ্রাই, ক্যানড স্যুপ ইত্যাদি। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যকে আরো খারাপ দিকে নিয়ে যায়। এতে ব্যবহৃত অস্বাস্থ্যকর তেল মলকে আরো বেশি শক্ত করে দেয়।
২. কফি
অনেকে ভাবেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় কফি খাওয়া ভালো। এটি নিয়ে অনেক মত-দ্বিমত আছে। কফি কখনো কখনো শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। আর পানিশূন্যতা হলে কোষ্ঠকাঠিন্য আরো খারাপের দিকে যায়।
৩. অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাবার
অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত খাওয়া হলে এ থেকে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে এবং হজমের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। কারণ, দুধের মধ্যে থাকা ল্যাকটোজ গ্যাস তৈরি করে।
৪. মদ্যপান
কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় মদ্যপান করা অবস্থার অবনতি ঘটায়। কারণ, মদ্যপান করলে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। এমনকি কেবল এক গ্লাস ওয়াইনও অবস্থাকে খারাপ করে তুলতে পারে।
৫. সাপ্লিমেন্ট
কিছু কিছু পুষ্টি সাপ্লিমেন্ট, যেমন—আয়রন অথবা ক্যালসিয়াম কোষ্ঠকাঠিন্যকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। এসব সাপ্লিমেন্ট বাউয়েল মুভমেন্টকে ধীরগতির করে।
৬. ব্যথানাশক ওষুধ
কোষ্ঠকাঠিন্য অবস্থায় ব্যথানাশক ওষুধ সেবন অবস্থাকে আরো খারাপ করে। এটি মলকে শক্ত করে দেয়।
৭. কায়িক পরিশ্রম না করা
অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করে বসে থাকেন। এটি ঠিক নয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সময় ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।