শিশু অটিজমে আক্রান্ত, বুঝবেন যেভাবে
অটিজম মস্তিষ্কের একটি বিকাশগত সমস্যা। একে শিশুর মনোবিকাশগত জটিলতা হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত শিশুর বয়স তিন বছর হতেই এর লক্ষণ প্রকাশ পায়।
যুক্তরাষ্ট্রের অটিজম সোসাইটির একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ মানুষ অটিজমে আক্রান্ত। আর বাংলাদেশে প্রায় দেড় লাখের মতো মানুষ অটিজমে আক্রান্ত এবং প্রতিবছর তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে প্রায় এক হাজার ৫০০ শিশু।
অটিজমের সমস্যায় আক্রান্তদের বলা হয় অটিস্টিক শিশু। এ সমস্যাকে ইংরেজিতে নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বলে। অটিজম সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে গণসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রতিবছর ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বছর দশম বিশ্ব অটিজম দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বকীয়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের পথে’ (Toward Autonomy and self-Determination) ।
শিশু অটিজমে আক্রান্ত, বুঝবেন যেভাবে
সাধারণত তিন বছর বয়স থেকে শিশুর মধ্যে অটিজম আছে কি না, সেটি বোঝা যায়। মেয়েশিশুর চেয়ে ছেলেশিশুরা তিন থেকে চার গুণ বেশি অটিজমে ভোগে।
১. অটিজমে আক্রান্তরা সামাজিক আচরণে দুর্বল হয়, পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম সক্ষম হয়।
২. এদের মধ্যে একই কাজ বারবার করার প্রবণতা দেখা যায়; মানসিক সীমাবদ্ধতা দেখা যায়।
৩. এ ধরনের শিশু আপন মনে থাকতে ভালোবাসে এবং নিজের ইচ্ছামতো কাজকর্ম করে।
৪. এরা কারো চোখের দিকে তাকায় না, কারো সঙ্গে নিজের ব্যবহারের জিনিসপত্র শেয়ার করতে চায় না। কারো দিকে তাকিয়ে হাসে না কিংবা আদর করলেও ততটা সাড়া দেয় না।
৫. অটিস্টিক শিশুরা একই কথা বারবার বলে এবং নিজের নাম শুনলে ততটা সাড়া দেয় না।
৬. অন্যের আচরণ অনুকরণ করে না।
৭. অটিস্টিক শিশুদের প্রায়ই হজমের অসুবিধা, পেটব্যথা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের গ্যাস, বমি ইত্যাদি সমস্যা হতে দেখা যায়।
৮. অটিস্টিক শিশুদের ঘুম সম্পর্কিত কিছু সমস্যা থাকে এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার।