শ্বেতী রোগের চিকিৎসা কী?
বিভিন্ন পদ্ধতিতে শ্বেতী রোগের চিকিৎসা করা হয়। আশার বিষয় হলো, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা হলে শ্বেতী রোগ ভালো হয়।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৭০০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন স্কিন স্কয়ারের চর্ম ও যৌন বিভাগের পরামর্শক অধ্যাপক ডা. রেজা বিন জায়েদ।
প্রশ্ন : কী কী ধরনের চিকিৎসা আপনারা শ্বেতী রোগীদের দিয়ে থাকেন?
উত্তর : শ্বেতী রোগ শরীরের যেকোনো জায়গায় হতে পারে, এমনকি চুলেও হতে পারে। চুলে যখন হয়, চুল কিন্তু সাদা হয়ে যায়। সুতরাং এগুলোর ওপরই নির্ভর করবে শ্বেতী রোগের চিকিৎসা। তা ছাড়া কত বড় এলাকাজুড়ে শ্বেতী রোগ হচ্ছে, তার ওপরও বিষয়টি নির্ভর করবে। আমরা এগুলো বিবেচনা করে চিকিৎসা শুরু করি। চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করি যে অ্যান্টিবডি, স্বয়ংক্রিয় কোষের বিরুদ্ধে যে কোষ কাজ করে, এই অ্যান্টিবডির পরিমাণটাও দেখি। কোনো কোনো সময় ধরা পড়লে সেই অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধেও চিকিৎসা দিয়ে থাকি। প্রথমত, লাগানোর ওষুধ দিয়ে আমরা চেষ্টা করি। স্টেরয়েড অয়েন্টমেন্ট হলো আমাদের প্রথম ওষুধ। এটার শক্তি আছে। মাইল্ড, মডারেট ও হাই। কোন জায়গায় শ্বেতী, তার ওপর এটি নির্ভর করে এর শক্তি ঠিক করে দিই। স্টেরয়েড রোগী লাগাতে থাকে। ধীরে ধীরে এটা কমতে থাকে। আরো কিছু ওষুধ আছে। সেগুলো হচ্ছে লাগানোরই।
ব্যাপ্তির ওপর নির্ভর করে খাওয়ার ওষুধ আছে। কিছু ট্যাবলেট খেয়ে ত্বকের যেই জায়গায় সাদা হয়, সেখানে সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়। এরপর আলট্রাভায়োলেট ‘এ’ অথবা ‘বি’ আলো দিয়ে এটি বাতিল করা হয়। শ্বেতী রোগের ক্ষেত্রে আমরা এই চিকিৎসাগুলো প্রায়ই দিয়ে থাকি। চিকিৎসার ফলাফল ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে সফল। যদি সঠিক সময়, সঠিক জায়গায় চলে আসে, তাহলে পুরোপুরি সেরে ওঠা সম্ভব।