ডায়ালাইসিস ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট
কিডনি কার্যক্রম অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৭০৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ।
প্রশ্ন : ডায়ালাইসিস ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য রোগীদের নির্বাচন করেন কীভাবে?
উত্তর : আমরা কিডনির কার্যক্রমটা দেখে নিই যে কিডনির ৯০ ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। সেটা দেখার উপায় হলো আমরা সিরাম ক্রিয়েটিনিন দেখি। সেটা দেখে আমরা সঠিক কিডনির কার্যক্রমটা নির্ণয় করে ফেলি। যখন দেখি যে ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে, তখন আমরা তাদের পরামর্শ দেই, যে আপনার বেঁচে থাকার জন্য দুটো উপায় আছে। হয় আপনি ডায়ালাইসিস করাবেন, নয়তো কিডনির সংযোজন করবেন। ডায়ালাইসিস আবার দুভাবে করা যায়। একটি মেশিনের সাহায্যে করা যায়। আরেকটি করা যায় হোম ডায়ালাইসিস। পেটে যে পেরিটোরিয়াল মেমব্রেন আছে, একে ব্যবহার করে, আমরা হোম ডায়ালাইসিস করতে পারি। সেটাও একটি খুব ভালো পদ্ধতি। বাংলাদেশে প্রায় ৯৬ থেকে ১০০টি ডায়ালাইসিস সেন্টার রয়েছে। আমাদের রোগীর সংখ্যা আছে প্রায় ১৮ হাজার। আমাদের হোম ডায়ালাইসিস করে প্রায় এক হাজারের ওপরের রোগী। আমাদের দেশে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতালে এগুলো করে থাকি। সেখানে প্রায় দেড় হাজারের মতো রোগী আছে, কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য। ২০০৬ সাল থেকে আমরা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে এসেছি। এদের সংখ্যা প্রায় ৪০০ হয়ে গেছে। এদের বাবা- মা, ভাই-বোন, একে অপরকে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বয়স যেন ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হয় এবং তার দুটো কিডনি যেন সুস্থ থাকে।