হাঁটুর ব্যথার চিকিৎসা কী?
হাঁটুর ব্যথা সাধারণত তিন ধরনের হয়। অল্প, মাঝারি ও বেশি। বেশি হলে এর চিকিৎসায় সার্জারির প্রয়োজন পড়ে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭০৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. পারভেজ আহসান। বর্তমানে তিনি ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হাঁটুর ব্যথার সমস্যা নিয়ে রোগীরা এলে আপনারা একে কীভাবে ব্যবস্থাপনা করেন?
উত্তর : সাধারণত অল্প ব্যথা নিয়ে এলে আমরা ট্যাবলেট বা ব্যথার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করি। ব্যায়াম দিয়ে চিকিৎসা করি। জীবনযাপনের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে বলি। যদি মাঝারি ব্যথা নিয়ে আসে, তখন ওষুধপত্র দেই অথবা অনেক সময় ইনজেকশন দিয়েও হাঁটুর চিকিৎসা করি। তবে একেবারে বেশি হয়ে গেলে আমরা সার্জারি করি।
প্রশ্ন : একেবারে বেশি হচ্ছে এই মাত্রা কীভাবে নির্ধারণ করেন?
উত্তর : এটা আসলে গ্রেড ওয়ান, গ্রেড টু, গ্রেড থ্রির ওপর নির্ভর করে। যদি দেখা যায় রোগী হাঁটতে পারছে না, হাঁটু শক্ত হয়ে যাচ্ছে এবং ব্যথায় খুব কাতর, তাহলে গ্রেড থ্রিতে পড়ে। গ্রেড থ্রি তে এক্স-রেতে দেখা যায় জয়েন্টের ফাঁকে কিছু নেই। এভাবেই আমরা রোগীকে নির্ণয় করি।
প্রশ্ন : সার্জিক্যাল ব্যবস্থাপনা নেওয়ার ক্ষেত্রে রোগীদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী হয়?
উত্তর : আমরা রোগীকে এভাবে বুঝাই যে এখন আর ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা হবে না। সে ক্ষেত্রে তার সার্জারি ছাড়া কোনো উপায় নেই। আর ওষুধ দিয়ে চিকিৎসায় হলে আমরা বলি, ‘আপনার ওষুধের চিকিৎসার সুযোগ আছে। ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করান।’ তবে যখন আমরা দেখি এই চিকিৎসা অকার্যকর হচ্ছে, তখনই আমরা সার্জিক্যাল চিকিৎসার কথা বলি। রোগীকে এটা বোঝাই যে আপনি মেডিকেল চিকিৎসা যদি করেন, এই ওষুধ শরীরের জন্য অপকার করবে। কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে। হাইপার এসিডিটি হবে। সে ক্ষেত্রে সার্জারি ছাড়া তার কোনো বিকল্প নেই।