পানিশূন্যতা প্রতিরোধে পাঁচ উপায়
শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ তরল বেরিয়ে গেলে পানিশূন্যতা হয়। শরীরের প্রতিটি কোষের ঠিকঠাকমতো কাজ করার জন্য পানির প্রয়োজন। যে কোনো বয়সেই পানিশূন্যতার সমস্যা হতে পারে। তবে শিশু ও প্রবীণদের এই সমস্যা বেশি থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগে আক্রান্ত রয়েছেন এমন রোগীদেরও পানিশূন্যতার সমস্যা হয়।
পানিশূন্যতা মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এর আগে কিছু ঘরোয়া বিষয় মেনে দেখতে পারেন।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি প্রকাশ করেছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
১. পানি পানের পরিমাণ বাড়ান
পানিশূন্যতা প্রতিরোধে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পানি পান করার পরিমাণ বাড়ান। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের পানিশূন্যতা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পানি পান করলেই হয়। এ সময় সাধারণ পানির পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট অথবা ইলেকট্রোলাইটসমৃদ্ধ পানীয় পানি পান করতে পারেন।
ঘরে তৈরি স্যালাইন
চার কাপ পরিষ্কার পানি নিন। এর মধ্যে আধা চা চামচ লবণ দিন। ছোট একটি চামচ দিয়ে ছয় চামচ চিনি দিন। একে ভালোভাবে মেশান। দিনে কয়েকবার এটি পান করুন।
২. দই
দই পানিশূন্যতা প্রতিরোধে চমৎকার ঘরোয়া উপায়। এটি ইলেকট্রোলাইটের ভালো উৎস। এটি পাকস্থলীকে প্রশমিত করে।
৩. পানি জাতীয় ফল ও সবজি
মাঝামাঝি ধরনের পানিশূন্যতা হলে পানি জাতীয় ফল ও সবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। যেমন : তরমুজ, কমলা, স্ট্রবেরি, পেঁপে, টমেটো, পালং শাক ইত্যাদি খান।
৪. কলা
কলা একটি ভালো ফল পানিশূন্যতা প্রতিরোধে। পানিশূন্যতা অনেক সময় মিনারেলের (যেমন : পটাশিয়াম) ঘাটতির কারণে হয়। কলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। কলা শরীরের মিনারেলের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক থেকে দুটো কলা খান। পাশাপাশি কলার স্মুদি খেতে পারেন।
৫. ডাবের পানি
এক গ্লাস ডাবের পানি পানিশূন্যতা প্রতিকারে সাহায্য করবে। নারকেল পানির উচ্চমাত্রার ইলেকট্রোলাইট শরীর উপকার করে। এর মধ্যে ক্যালোরি ও সুগারের পরিমাণ কম রয়েছে। তাই পানিশূন্যতার সময় ডাবের পানিও পান করতে পারেন।