গ্লুকোমার চিকিৎসা যেভাবে হয়
গ্লুকোমার চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭১৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. সিদ্দিকুর রহমান। বর্তমানে তিনি ভিশন আই হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও গ্লুকোমা বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কীভাবে গ্লুকোমার চিকিৎসা শুরু হয়?
উত্তর : যদি আমরা দেখি যে চোখের প্রেশার (চাপ) বেশি, তাহলে মেপে আমরা চোখের প্রেশার কমানোর কিছু ওষুধ দিই। বেশিরভাগই ড্রপজাতীয় ওষুধ দিই। এটা দিলে রোগটি কম থাকল। ঠিক আছে। এ অবস্থায় আবার আমরা তাকে অনেক দিন পরে বা তিন মাস বা ছয় মাস পরে ফলোআপ করব যে কোনো ক্ষতি হলো কি না। যদি ক্ষতি না হয়, তাকে ওই ওষুধই নিয়মিত করতে হবে। আর যদি দেখা যায় এতেও ক্ষতি হচ্ছে, তখন ওষুধের মাত্রা বাড়াব, সংখ্যা বাড়াব। এ রকম চার-পাঁচ রকম ওষুধ দেব।
প্রশ্ন : গ্লুকোমা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসা কী দেন?
উত্তর : আমরা একটি মডেল দাঁড় করাই। এর ভেতর তার জীবনযাপনের ধরনের অনেক বিষয় থাকে। প্রাথমিক দিকে অল্প ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে বলি। নিয়ন্ত্রণ হয়ে গেলে বলি ঠিক আছে। এরপর কোনো কোনো ক্ষেত্রে লেজার চিকিৎসা করার দরকার হয়। এটি করে যদি সে ভালো থাকে, তাহলে আমরা সেটি করে দিই।
কখনো কখনো অস্ত্রোপচার করার দরকার পড়ে। দুই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে আমরা অস্ত্রোপচার করি। এক, দীর্ঘদিন ধরে খুব দামি ওষুধ কেনা যদি কারো জন্য কঠিন হয়, তাহলে একটু ঝুঁকি থাকলেও অস্ত্রোপচার করি। এটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও শেষ চিকিৎসা।
আরেকটি ক্ষেত্রে আমরা অস্ত্রোপচার করি। সেটি হলো, সব ওষুধ দেওয়ার পরও যদি প্রেশার না কমে। গ্লুকোমার ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই যাচ্ছে। তখন আমাদের গ্লুকোমার অস্ত্রোপচার করতে হয়।
প্রশ্ন : অস্ত্রোপচারের পরে কি রোগী অনেকটা সুস্থবোধ করেন?
উত্তর : আসলে তার দৃষ্টি যেটা কমে গেছে, সেটি ফিরে আসবে না। আমাদের কাজ হলো যতটুকু আছে, ততটুকু সুরক্ষিত রাখা।