বায়ু দূষণ : সমাধান কী
বর্জ্য, ধুলাবালি, অপরিচ্ছন্নতা, কলকারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি বিভিন্নভাবে বায়ু দূষিত হয়। বায়ুদূষের কারণে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণ হয়। এ সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭১৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. মোজাহেরুল হক। তিনি দীর্ঘদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশ্ন : শহরে আমারা দেখি কোথাও কোথাও ডাস্টবিন উন্মুক্ত থাকছে। সবাই এসে সেখানে ময়লা ফেলছে। যে গাড়িতে করে এই ময়লা নিচ্ছে সেগুলোও উন্মুক্ত এবং দিনের বেলা নিচ্ছে। এতে দুর্গন্ধ হয়। এটি কেবল কি দুর্গন্ধের কষ্টই আমাদের দেয়, না কি এর মধ্যেও রোগ ছড়াতে পারে?
উত্তর : বর্জ্যের সুন্দর ব্যবস্থাপনা আমাদের অনেক রোগ থেকে বাঁচিয়ে রাখে। কারণ, এই বর্জ্যটাইতো বাতাসকে দূষিত করছে। এই দূষিত বাতাসের মধ্যেও যে রোগ সংক্রমণের উপাদান থাকা দরকার সেগুলো সব আছে। যে কারোই এ থেকে শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে। এই আবর্জনা আমাদের যেমন খোলা অবস্থায় ফেলতে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়, পাশাপাশি এটি পরিষ্কার করার দায়িত্ব যাদের তাদেরও কিন্তু ভোরের আগেই পরিষ্কার করে নিয়ে যাওয়া উচিত। তবে সেটি হচ্ছে না। আমরা যদি এই ব্যবস্থা করতে পারি যে ভোরের আগেই একে এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে, পাশাপাশি যেসব জায়গায় স্যুয়ারেজ খোলা সেগুলো যদি আমরা সিল করে বন্ধ করে দিতে পারি, তাহলে অনেক রোগ থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি।
প্রশ্ন : অনেক সময় আমরা দেখি নানা রকম যে উন্নয়ন কাজ সেটি অপরিকল্পিতভাবে হয়। এতে ধুলা, ময়লা, পানি জমে থাকা বিভিন্ন সমস্যা হয়। এই বিষয়ে আপনার মতামত কী?
উত্তর : আমরা যেটি দেখছি উন্নয়ন হচ্ছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এই উন্নয়ন করতে গিয়ে আমাদের কতখানি ক্ষতি হচ্ছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কতটা বাড়ছে- সেটি কিন্তু দেখা দরকার। বায়ুদূষণে ধুলার যে দূষণটি সেটি খুব সহজে বন্ধ করা যায়। কারণ কন্সট্রাকশন তো হতেই থাকবে। এটা আমরা নিজেরাও করি, সরকারও করে। সুতরাং এটি থাকবে।
আগে যেটা আমরা দেখেছি ,মিউনিসিপালিটির কিছু গাড়ি ছিল। এই গাড়ি দিয়ে পানি ছিটানো হতো। গাড়িটা চলে যেত, পানিতে রাস্তা ভিজিয়ে দিত। এটা ধুলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটা অনেকটা নিরাপদ বাতাস আমাদের দিতে পারত। এটি করা উচিত বলে আমি মনে করি।