পানি দূষণ রোধে করণীয়
পানি দূষণ থেকে বিভিন্ন রোগজীবাণু দেহে বাসা বাঁধে। তবে কিছু পদক্ষেপ নিলে পানি দূষণ অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭১৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. মোজাহেরুল হক। তিনি দীর্ঘদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশ্ন : এখন আমরা শহরের সরাসরি সাপ্লাইয়ের পানি পান করতে পারি না, রোগব্যধির ভয়ে। এ বিষয়টি থেকে কীভাবে আমরা ঝুঁকিমুক্ত হতে পারি?
উত্তর : সাপ্লাই পানির ক্ষেত্রে আমাদের ওয়াসার দায়িত্ব এটি ক্লোরিনেটেড ওয়াটার বা আরো যদি নিরাপদ কোনো ব্যবস্থা থাকে সেগুলো করে সুপেয়, নিরাপদ একটি পানি পানের ব্যবস্থা করা। এটা হওয়া উচিত। পানি দূষিত হচ্ছে কি না সেই বিষয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা দরকার। ওয়াসা বা মিউনিসিপাল করপোরেশন এটি পর্যবেক্ষণ করবে। মাঝেমধ্যেই তারা পরীক্ষা করবেন পানিটা নিরাপদ কি না। নিশ্চিত করবে এটা নিরাপদ পানি।
অনেক জায়গায় লাইনের পানি থেকে দুর্গন্ধ আসে। ময়লা পানি আসে। অথচ এটি রোগব্যাধির জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের দেশের অনেক মানুষই অন্ত্রনালির রোগে ভোগে। আমাশয়, ডায়রিয়া থেকে শুরু করে এই ধরনের প্রচুর রোগে ভোগে। বাচ্চারা তো ভোগেই। তাই এগুলো প্রতিরোধে নিরাপদ পানি ও নিরাপদ খাবার- এ দুটোই লাগবে।
প্রশ্ন : আমরা এখন নিরাপদ বোধ করি যে পানি ফুটিয়ে পান করছি। কিংবা বোতলজাত পানি বা জীবাণু মুক্ত পানির কিছু ব্যবস্থা আছে। সেটি আমরা পান করছি। এটি করছি শুধু খাওয়া বা রান্নার কাজে। তবে আমরা যে থালাবাটি বা লাইনের পানি ব্যবহার করছি সেটিও আমাদের নজর দেওয়া দরকার যেন জীবাণুমুক্ত হয়। এ বিষয়ে আপনার কী মত?
উত্তর : অবশ্যই। এ বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।