ব্লাড ক্যানসার, কেমোথেরাপি কি সব সময় লাগে?
ব্লাড ক্যানসারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি একটি অংশ। তবে ব্লাডের সব ক্যানসারেই কি কেমোথেরাপি লাগে?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭২৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ। বর্তমানে তিনি অ্যাপোলো হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : যখনই কোনো ক্যানসার হয়, আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি যে আমার আর বোধ হয় কোনো ভরসা থাকল না। বিশেষ করে ব্লাড ক্যানসার হলে তো আরো বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমরা এখন দেখছি, ব্লাড ক্যানসার হওয়ার পরও একজন মানুষ দীর্ঘ জীবন সুস্থ আছেন। ব্লাড ক্যানসারের মধ্যে কোন ধরনের ক্যানসারগুলোতে আপনারা আশাবাদী হোন যে এটি চিকিৎসা করলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে?
উত্তর : ব্লাড ক্যানসার মূলত দুই ধরনের। একটি হলো ক্রনিক (দীর্ঘ মেয়াদে)। আরেকটি হলো একিউট (স্বল্প মেয়াদে)। যেগুলো ক্রনিক অবস্থায় আছে, সেগুলোর দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করতে হয়। এরপর যেটি ক্রনিক মাইলয়েড ৮০ ভাগ নিরাময় হয় মুখের মেডিসিন দিয়ে। এখানে মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়েই ক্যানসার ভালো হয়ে যাচ্ছে। ক্রনিকের এই দুটো গেল।
একিউট অবস্থায় যদি আমরা আসি, একিউট লিম্ফয়েড ও মাইলয়েড। এখানে বয়স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যদি বাচ্চাদের হয়, সাধারণত লিম্ফয়েড ধরনের বেশি হয়। ৮৫ ভাগ। সে ক্ষেত্রে ২২ বছরের মধ্যে যদি কোনো রোগী পাই, তাহলে আবার বিষয়টি দেখি। আগে যে আমরা গণহারে বলতাম কেমোথেরাপি লাগবে, বিষয়টি সেটি নয়। কোন ক্যানসার কেমন সারভাইভাল হবে, সেটি আমরা চিকিৎসার আগেই বলে দিতে পারি।
যখন রোগীকে পুরো টাকাটাই দিতে হচ্ছে, সেখানে রোগটা কতটুকু, সেটা জানা দরকার? তার কত টাকা আছে, সেকি তার সবকিছু বিক্রি করে দেবে, নাকি চিকিৎসা নিয়মিত করবে, কতটুকু আশাবাদী হবে, এর রোগ ভালোভাবে নির্ণয় করতে হবে। এরপর ঝুঁকি পরিসংখ্যান করতে হবে। সেই কাজটি থেকে আমরা অনেকেই পিছিয়ে আছি। আমরা রোগ নির্ণয় হওয়ার পরও হঠাৎ করে চিকিৎসা শুরু করে দিই, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যাই। অপ্রয়োজনীয় রক্ত অনেকে দিই। এ জন্য একটি ভালো সেন্টার থেকে তার আগে সুনির্দিষ্ট রোগ নির্ণয় করতে হবে।