অ্যাজমা অ্যাটাক প্রতিরোধে করণীয়
অ্যাজমা শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ। এ রোগে রোগীর শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি ইত্যাদি সমস্যা হয়। আবার অনেক সময় কেবল শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ধুলাবালি, ফুলের রেণু, ঠান্ডা আবহাওয়া ইত্যাদি অ্যাজমা রোগের ক্ষেত্রে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।
অ্যাজমা রোগীদের হঠাৎ করে অ্যাজমা অ্যাটাক হতে পারে। এটি বেশ মারাত্মক অবস্থা। এর চিকিৎসা হাসপাতালে করা উত্তম। তবে এই সমস্যা যেন এড়ানো যায় তাই কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭২৬তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক এ কে এম মোস্তফা হোসেন। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালের বক্ষ্যব্যাধি বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : আমরা কিন্তু দেখি যে অ্যাজমা রোগীদের হঠাৎ করে অ্যাজমা অ্যাটাক করে ফেলে। এই বিষয়টি প্রতিরোধের জন্য কী করতে হয়?
উত্তর : হঠাৎ যেন অ্যাজমা অ্যাটাক না হয় সে জন্য প্রতিরোধমূলক ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। নয়তো খুব সাংঘাতিক অবস্থা হয়। যখন জটিল অ্যাজমা নিয়ে আসে, অনেকে এর ব্যবস্থাপনাও জানে না। এই জন্য আগে থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আর রোগীকে সবসময় ইনহেলারটা বহন করতে হবে।
যখন সিভিয়ার একিউট অ্যাটাক হয়, তখন রোগীকে নেবুলাইজার দিতে হবে, অক্সিজেন দিতে হবে। প্রয়োজনে স্টেরয়েড ইনজেকশন দিতে হবে। সিভিয়ার একিউট অ্যাজমা হলে দ্রুত কাছের হাসপাতালে যেতে হবে। নিজে নিজে এই ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেওয়া উচিত নয়।