মূত্রপথের সংকোচন : উপসর্গ কী?
মূত্রপথের সংকোচনে ব্যথা হওয়া, প্রস্রাব শেষ হতে সমস্যা হওয়া ইত্যাদি হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭২৫ তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. শরীফুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে ইউরোলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : একজন মানুষের মূত্রপথের সংকোচনের সমস্যা হলে এর উপসর্গ কী হয়? পর্যায়ক্রমে এটি কতটা গুরুতর হতে পারে?
উত্তর : মূত্রনালি যখন সরু হতে থাকে, তখন মানুষ প্রথমে প্রস্রাবে বাধা অনুভব করে। প্রস্রাবের নালিটা সরু হয়ে যায়। চিকন ধারায় প্রস্রাব হয়। প্রথম অভিযোগটা তার এটা হয় যে তাকে কিছু চাপ দেওয়া লাগে। স্বাভাবিক চাপে তার প্রস্রাব হয় না। অতিরিক্ত চাপ দিয়ে তার প্রস্রাবটা শেষ করা লাগে। একটি পর্যায়ে আস্তে আস্তে ধারা আরো চিকন হতে থাকে। তাকে আরো সময় নিয়ে প্রস্রাব করা লাগে। প্রস্রাবের রাস্তা যাদের সরু হয়ে যায়, তাদের প্রস্রাব শেষ হতে অনেক সময় ১৫ মিনিটও লাগে। কারণ, চিকন ধারায় করা লাগে। প্রস্রাবের গতিটা কমে যায়। একটি পর্যায়ে সে শেষ করতে পারে না। তার শেষ অভিযোগ হয়, আমার প্রস্রাব পরিষ্কার হয় না। আমার প্রস্রাব জমে থাকে। এরপর প্রস্রাব জমে থাকার কারণে কিছু সংক্রমণ হয়। সংক্রমণের কারণে জ্বালাপোড়া হতে পারে। প্রস্রাব করার সময় ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় প্রস্রাবের সঙ্গে পুঁজ যেতে পারে। এই সমস্যাগুলো বাড়তে বাড়তে এটি মূত্রথলিকে যুক্ত করে। ক্রমান্বয়ে হয়তো ওপরের দিকে কিডনিকে যুক্ত করে। ছেলেদের প্রস্টেটেরও সংক্রমণও হতে পারে। এই জাতীয় অনেক সমস্যা তৈরি হয়। আর এইটার ধারাবাহিকতা হিসেবে কিডনি যদি সংক্রমিত হয়, পায়োনেফ্রসিস হয়ে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে। এটা সবচেয়ে খারাপ একটি অবস্থা।
প্রশ্ন : একজন মানুষের যদি স্ট্রিকচার দেখা দেয়, সেই ক্ষেত্রে স্ট্রিকচার মূত্রনালির কোন পর্যায়ে আছে, কোন লোকেশনে হয় বা কি সেটি বোঝার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় নিশ্চয়ই। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়?
উত্তর : আগে নিশ্চিত করা লাগে এটার স্ট্রিকচারটা কোথায়? আমরা এ ক্ষেত্রে একটি পরীক্ষা করি। এটি একটি এক্স-রে। এটা প্রস্রাবের রাস্তায় ডাই দিয়ে করা হয়। সে পরীক্ষা দিয়ে আমরা এটা নিশ্চিত করি। এটা করে আমরা দেখি বিষয়টি। তার ওপর আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ণয় করে। এমনকি আমরা এন্ডোস্কোপিক অবস্থাতেও এটি করতে পারি।