পাইলসের চিকিৎসা কীভাবে করা হয়?
পাইলসের চিকিৎসার এখন অনেক আধুনিক পদ্ধতি বের হয়েছে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭২৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক সালমা ইয়াসমীন চৌধুরী। বর্তমানে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : পাইলসের ক্ষেত্রে আপনারা কী ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন?
উত্তর : পাইলসের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা দেওয়া যেতে পারে। কোনো কারণে যদি রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়, সমস্যা হওয়ার কারণগুলোকে যদি বাধা দেওয়া যায়, তাহলে কিন্তু রোগী একদম স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় চলতে পারে। দ্বিতীয় ডিগ্রি পাইলসের ক্ষেত্রে এখানে অস্ত্রোপচার করা ছাড়াও আমরা স্ক্লেরোথেরাপি করতে পারি। পাইলস মাসের মধ্যে ইনজেকশন দিয়ে দিতে পারি। অথবা ব্যান্ডিং করতে পারি। আস্তে আস্তে বড় হলে সেটি স্বাভাবিক হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার লাগে না। অসুবিধা হলো সেগুলো আবার হওয়ার আশঙ্কা একটু বেশি থাকে।
আর তৃতীয় বা চতুর্থ ডিগ্রির ক্ষেত্রে আমরা বলি, অস্ত্রোপচার করতে। এটি দুভাবে করা যায়। ইদানীং এসেছে যন্ত্রের সাহায্যে, ব্যথামুক্তভাবে, রক্তপাতবিহীনভাবে। একে আমরা বলি স্টেপল হেমোরয়েডেক্টোমি। আর আরেকটি হলো কেটে করা। পাইলসগুলো কেটে কেটে অস্ত্রোপচার করা হতো।
প্রশ্ন : অস্ত্রোপচারের পর রোগীদের প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকে ?
উত্তর : যেভাবে অস্ত্রোপচার করুক না কেন, কেটে বা স্টেপলারের মাধ্যমে মূল কাজ হলো পায়খানাকে নরম রাখা। তাই নিয়মিত মলের অভ্যাসটি ঠিক রাখতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। পানি বেশি করে খেতে হবে।