যেসব খাবারে অবসাদ দূর হয়
ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রম বা দীর্ঘমেয়াদে অবসাদে অনেকেই ভুগে থাকেন। এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত দৈনন্দিন কাজকর্ম করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। সারাক্ষণ ক্লান্তিবোধ, কাজের প্রতি অনীহা, ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্ত লাগা এই রোগের কিছু লক্ষণ। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো অবসাদ কমাতে অনেকটা সাহায্য করে।
অবসাদ দূর করার কিছু খাবারের কথা জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
ফল ও সবজির জুস
হয়তো শুনতে একটু অদ্ভুত লাগবে, তবু সত্য হলো, ক্যাফেইন বা কফি পান শুরুতে আপনাকে চাঙ্গা করলেও অতিরিক্ত পান ক্লান্তিকে আরো বাড়িয়ে দেবে। তাই বেশি অবসাদগ্রস্ত থাকলে কফি পান এড়িয়ে যান।
এ ছাড়া শক্তিবর্ধক পানীয় বা সোডা ইত্যাদি এড়িয়ে যান। শক্তিবর্ধক পানীয় বা সোডার মধ্যে বেশি মাত্রায় চিনি থাকে। এতে শক্তি আরো কমে যায়। এর পরিবর্তে ফল বা সবজির জুস পান করুন। এগুলো শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে।
ফল ও সবজি
প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের ক্ষতি করে। সতেজ ফল ও সবজি খান। এতে অনেক পুষ্টি পাবেন। অবসাদগ্রস্ততা দূর করতে ফল ও সবজি খাওয়া খুব উপকারী।
পর্যাপ্ত পানি পান
পানি শরীকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। দৈনিক অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন। প্রচুর পানি পান অবসাদগ্রস্ততা দূর করতে সাহায্য করে।
বাদাম
বাদাম খাওয়া অবসাদের সঙ্গে লড়াই করতে কাজ করে। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, ওয়ালনাট, চিনাবাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন। লবণ মেশানো বাদাম খাওয়ার চেয়ে এমনি খাওয়া বেশি পুষ্টি জোগায়।
প্রোটিন
প্রাণিজ প্রোটিন খান। যেমন মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি। প্রোটিনের মধ্যে রয়েছে এমাইনো এসিড। এটি অবসাদগ্রস্ততা কমাতে কার্যকর।
ফ্যাট
ফ্যাট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এটি অবসাদগ্রস্ততার সঙ্গে লড়াই করে। ফ্যাট হিসেবে খেতে পারেন এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েল।