প্লাস্টিক সার্জারি কখন করা হয়?
অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠনমূলক বিভিন্ন সমস্যায় প্লাস্টিক সার্জারি করার প্রয়োজন পড়ে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৪৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. আশরাফুজ্জামান। তিনি মুগদা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক।
প্রশ্ন : একজন রোগীকে প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে, সেটি কিসের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : এক নম্বর বিষয় হলো তার মূল সমস্যাটা কী সেটি দেখতে হবে। মূল সমস্যার মধ্যে যদি আমরা দেখি একটি বড় টিউমার আছে, সেটি ফেলে দিতে হবে। প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে। বাচ্চার ঠোঁট কাটা, আবার বাচ্চার জন্মগতভাবে তালু কাটা- এগুলো আমাদের প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে। এগুলো সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। একটি মেয়ের হয়তো জন্মগত একটি দাগ আছে, সেই দাগটুকু তুলে দিতে হবে- একেও আমরা প্রয়োজন মনে করি। একজনের আঙুলের একটি সমস্যা আছে, জোড়া আঙুল। এই জন্য তার সমস্যা হচ্ছে, এটাকে আমরা সার্জারি করি। মূল প্রয়োজনটা পূরণ করি। এরপর কসমেটিকের বিষয়টি দেখি।
প্রশ্ন : খুব প্রয়োজন থেকে সৌন্দর্যের দিকে একটু চলে যাই। কোন কোন দিকে আপনারা পরামর্শ দেন প্লাস্টিক সার্জারি করতে?
উত্তর : যারা শুধু কসমেটিক ও অ্যাসথেটিক বিষয়ে যেতে চায়, তাদের জন্য কিন্তু অনেক রকম চিকিৎসা আছে। কারো হয়তো কালো দাগ আছে, সেটি ওঠাতে চান। এটি ওঠাতে চাইলে আমরা সার্জারি করতে পারি। আবার এখন লেজার চিকিৎসা রয়েছে। লেজার চিকিৎসা দিয়ে মানুষের কালো দাগকে সাদা করে দিয়ে সমান চিকিৎসা করে দেওয়া হচ্ছে। কারো নিবাস বা হেমাঞ্জিওমা আছে, আবার অবাঞ্ছিত লোম আছে। এগুলোকে লেজার চিকিৎসা দিয়ে ঠিক করা যায়।
এটি বেসরকারি চিকিৎসা। লেজার চিকিৎসা এখনো সরকারিভাবে শুরু হয়নি। তবে একটু দামি।
খুব জরুরি ছাড়া যদি কেউ আসে, তাকে আমরা ভালো করে কাউন্সেলিং করি। এরপরও যদি তারা করতে চায়, তখন ইনফেকশন বা তার কোনো সমস্যা হতে পারে। এরপরও যদি সে করতে চায় আমরা সেভাবে অস্ত্রোপচার করি।