রোজায় প্রবীণদের করণীয়

Looks like you've blocked notifications!
সুস্থভাবে রোজা রাখতে প্রবীণদের কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। ছবি : সিটিভি ওট্টাওয়া

প্রবীণ বয়সে শরীরে নানা রোগব্যাধি বাসা বাঁধে। এ সময়ে শরীরে চাই বাড়তি যত্ন। রোজার দিনগুলোতে এই যত্ন একটু বেশি প্রয়োজন। সুস্থভাবে রোজা পালনে প্রবীণদের কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।

প্রবীণরা রোজা রাখতে যেসব বিষয় খেয়াল করবেন :

১. প্রবীণরা যেহেতু দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকেন, তাই তাঁদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোজা রাখতে হবে।

২. প্রবীণরা সাধারণত অনেক রকমের ওষুধ খেয়ে থাকেন। রোজায় যেহেতু সারা দিন না খেয়ে থাকতে হয়, তাই এ সময় ওষুধের ডোজ কীভাবে গ্রহণ করতে হবে, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

৩. প্রবীণরা রোজার সময় বেশি পানিশূন্যতায় ভোগেন। এতে নানা ধরনের জটিলতা দেখা যায়। যেমন : মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। অনেক সময় কিডনির জটিলতাও দেখা দিতে পারে। তাই ইফতার ও সেহরিতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত অল্প অল্প পানি পান করতে হবে।

৪. রোগের ধরন অনুসারে খাদ্যতালিকা কেমন হবে, সেটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আগেই ঠিক করে নিন। সে অনুসারে খাবার খান।

৫. সেহরির সময় অবশ্যই খাবার খাবেন। এ সময় খাবার না খেয়ে রোজা রাখলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে।

৬. প্রবীণদের যেহেতু খাদ্য পরিপাকতন্ত্র দুর্বল, তাই এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে চিবানো যায় এবং হজম হয়।

৭. প্রবীণদের ইফতার ও সেহরির খাদ্যতালিকায় সালাদ, শাক-সবজি, ফল থাকা উচিত। এগুলো ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশের চাহিদা পূরণ করবে।

৮. যদি কিডনি রোগ, পেপটিক আলসার, উচ্চ রক্তচাপ , ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে ইফতারের সময় বেশি তৈলাক্ত, বেশি লবণাক্ত, ভাজাপোড়া, বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।