জন্ডিসের চিকিৎসা কী?
হেপাটাইটিস ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়ে জন্ডিসের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর চিকিৎসা কী? এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৭৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফারুক আহমেদ। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : জন্ডিস ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সমস্যার বেলায় কী চিকিৎসা করে থাকেন?
উত্তর : যদি হেপাটাইটিস এ বা ই আক্রান্ত হয়, আমরা সেটি রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারি। সে ক্ষেত্রে রোগীর শারীরিকভাবে যদি বেশি দুর্বলতা থাকে, বমি বমি ভাব বেশি থাকে যে কিছুই খেতে পারছেন না বা যদি তার অন্যান্য সমস্যা থাকে, যেমন কেউ হয়তো জ্বরে ভুগছেন বেশি সময় ধরে বা কিছু এলোমেলো কথাবার্তা বা আচার-আচরণ দেখা দিচ্ছে—এ জাতীয় সমস্যা হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভর্তি করার প্রয়োজন হয় না। তাকে আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। কিছু ওষুধ দিই। বাসাতেই থাকতে আমরা পরামর্শ দিই। সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বা ছয় সপ্তাহের মধ্যে হেপাটাইটিস এ ও ই আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে যান।
প্রশ্ন : হেপাটাইটিস বি বা সি-এর মাধ্যমে আক্রান্ত হলে তার নিরাময় কি সম্ভব? কী ধরনের চিকিৎসা রয়েছে এ ক্ষেত্রে?
উত্তর : বাংলাদেশে চিকিৎসা সম্ভব। হেপাটাইটিস বি বা সি-এর সব ধরনের চিকিৎসা বাংলাদেশে রয়েছে। হেপাটাইটিস বি-এর চিকিৎসায় মুখের খাওয়ার ওষুধ, ইনজেকশন দুটোই পাওয়া যায়। হেপাটাইটিস সি-এর ক্ষেত্রে শুধু আগে ইনজেকটেবল ওষুধ ছিল, এখন মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে সুন্দরভাবে আমরা চিকিৎসা করছি। হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের ওষুধটি পশ্চিমা বিশ্বে যেকোনো মূল্যে রোগীরা খাচ্ছে, তার চেয়ে অনেক কম মূল্যে আমাদের দেশে রয়েছে। যে ওষুধের দাম আমাদের দেশে হয়তো ৫০০ টাকা পড়ে, এটি সেখানে পড়বে প্রায় ৮০ গুণ বেশি।