প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হওয়ার চিকিৎসা কী?
প্রোস্টেট গ্রন্থি দুভাবে বড় হয়—একটি ম্যালিগনেন্ট, অপরটি বিনাইন। ম্যালিগনেন্ট অর্থ ক্যানসার। আর বিনাইন ততটা ক্ষতিকর নয়। প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হওয়ার চিকিৎসা কী? এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৭৪তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ আউয়াল। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এ সমস্যার চিকিৎসা কী?
উত্তর : আমরা প্রথমে পরীক্ষা করি। প্রথমে ইউরিন রুটিন পরীক্ষা করি এবং কালচার সেনসিটিভিটি করি। এরপর আলট্রাসনোগ্রাম ওইথ পিভিআর করি। আলট্রাসনোগ্রাম কেইউভি করি। সেই সঙ্গে প্রস্রাব করার পর, প্রস্রাবের থলিতে কতটা প্রস্রাব জমা থাকে, সেটিও আমরা লক্ষ করি। কারণ, প্রস্রাব জমা থাকার সঙ্গে চিকিৎসার একটি সম্পর্ক আছে। এরপর ডিজিটাল রেকটাল এক্সামিনেশন বলে একটি পরীক্ষা আছে; পায়খানার রাস্তায় আঙুল দিয়ে আমরা প্রোস্টেটের আকার দেখি। প্রোস্টেটে কোনো নডিউল আছে কি না, এটি ম্যালিগনেন্ট না কি বিনাইন এটা ডিজিটাল রেক্টাল এক্সামিনেশন করলে আমরা বুঝতে পারি।
প্রশ্ন : বিনাইন নাকি ম্যালিগনেন্ট, সেটি আপনারা কীভাবে বোঝেন?
উত্তর : পরীক্ষা করে দেখি, যদি কোথাও শক্ত থাকে বা নডিউল থাকে, তাহলে ধারণা করি এটি ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আলট্রাসনোগ্রামে কিছু বিষয়ের পরিবর্তন হয়ে যায়। আরেকটি মার্কার আছে। প্রোস্টেটিক স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন বলা হয়। এই মার্কার যদি ৪ ন্যানোগ্রাম পার এমএল থাকে, যদি এর বেশি হয়ে যায়, তখন আমরা সন্দেহ করি তার প্রোস্টেট ক্যানসার হতে পারে।
প্রশ্ন : বিনাইন হলে চিকিৎসা কীভাবে করে থাকেন?
উত্তর : তার বয়স, বিনাইনের আকার, লক্ষণ, জটিলতা—এসবের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করে থাকি। যদি দেখা যায় বয়স খুব বেশি, প্রোস্টেটিক আকার খুব বেশি, তার লক্ষণ অত জটিল নয়, তখন আমরা বলি, ‘দেখা যাক কী হয়।’
জীবনযাপনের পরিবর্তন করে তেমন কিছু লাভ হবে না। তাঁকে পরামর্শ দিই তিন মাস বা ছয় মাস পর পর আলট্রাসনোগ্রাম করে আসবেন। সমস্যাগুলো কি জটিল হচ্ছে, নাকি আগের মতোই আছে, সেটি ডাক্তারকে জানাবেন।